নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
টেকনাফ ও উখিয়ার পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ফের দু’মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোররাতের পৃথক সময়ে টেকনাফের নাফনদীর তীর ও উখিয়ার ঘুমধুম রেজুআমতলী সীমান্তে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ বিজিবি সিও লে. কর্নেল ফয়সাল হাসান খান ও কক্সবাজার-৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু হায়দার আজাদ আহমেদ।
এসময় টেকনাফে ৩ লাখ ৪০ হাজার আর উখিয়াতে ৫০ হাজার ইয়াবা ও দু’স্থানে দুটি এলজি উদ্ধার হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিজিবির কর্মকর্তা দ্বয়।
উখিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত মোহাম্মদ শাহজাহান (২৭) উখিয়া উপজেলা সদরের ডেইলপাড়া এলাকার সৈয়দ নুরের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও ইয়াবা পাচারের অন্তত ১০ টি মামলা রয়েছে বলে দাবি করেছে বিজিবি। কিন্তু টেকনাফে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেননি বিজিবি কর্তৃপক্ষ। নিহত ব্যক্তি নাফনদী সাঁতরিয়ে আসায় তাকে রোহিঙ্গা বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
টেকনাফস্থ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফয়সাল হাসান খান বলেন, টেকনাফের ন্যাচারপার্ক ডাবলজোড়া নামক স্থানের নাফনদী তীরে বিজিবি সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছিল। এসময় অকস্মাৎ কয়েক লোককে নৌকা নিয়ে নদীপার হয়ে এপারে আসতে দেখে বিজিবি সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করে। তারা বিজিবিকে লক্ষ্যকরে গুলি করলে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে দু’জন নদীতে ঝাপ দিয়ে মিয়ানমারের দিকে চলে যায়। একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। সাথে তিনটি বস্তায় ইয়াবা ও একটি এলজি মিলে। আহতকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বস্তা খুলে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা মিলেছে। নিহত মাদক কারবারির নাম-পরিচয় জানান চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে, কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান, রোববার ভোররাতে উখিয়ার রেজুআমতলী সীমান্ত পিলার-৩৯ এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে একটি ইয়াবার চালান প্রবেশ করবে এমন সংবাদে টহল জোরদার করে বিজিবি। টহরত বিজিবি সদস্যরা ৪-৫ জনের একটি দল প্রবেশের চেষ্টাকালে তাদের থামানোর সংকেত দেয়া হয়। কিন্তু তারা না থেমে বিজিবির অবস্থান টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলিছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টাগুলি চালালে তারা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে শাহজাহানের মরদেহ ও অস্ত্র-ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, নিহতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও ইয়াবা পাচারের অন্তত ১০ টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায়ও পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান বিজিবির এ কর্মকর্তা।