উখিয়ায় ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন

d0cff789-b5fe-4a4c-b8b3-5e282a6e694eশফিক আজাদ, স্টাফ রিপোর্টার :

প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের স্বাচ্ছন্দে পাঠদানে শ্রেণী কক্ষ বৃদ্ধি এবং সম্প্রসারণ করার লক্ষে উখিয়ার ১০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। উর্ধমূখী সম্প্রসারণ ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় অতিরিক্ত ৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর লেখা পড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এমনটা মনে করছে সচেতন অভিভাবক মহল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী থ্রীর (পিডিবি) আওতায় ২০১৩ ও ২০১৪-২০১৫অর্থ বছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৬কোটি টাকা ব্যায় বরাদ্ধে ১০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন সম্প্রসারণ একাডেমিক ভবনে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উক্ত ভবনের নির্মাণ কাজ তদারকি ও বাস্তবায়নে করেছে।

নবনির্মিত ভবন গুলো হচ্ছে জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনার পাড়া সরকারী প্রাথমকি বিদ্যালয়, ছেপটখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রতœাপালং ইউনিয়নের তেলি পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামারিয়ার বিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পাতারবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বড়বিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণ মারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দরগাহ বিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রহমতের বিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

উখিয়া উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: সোহরাব আলী জানান, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নতুন নির্মিত ১০টি উর্ধমূখী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন সরকারী সিডিউল মোতাবেক ও তদারকির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে। গুণগতমান যাচাই করে উক্ত বিদ্যালয় গুলো নির্মাণ করা হয়।

দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার অধ্যাপক জিয়াউল হক হান্নান বলেন, প্রকৌশলীদের উপস্থিতিতে ১কোটি টাকা ব্যায়ে ছেপটখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোলন সেন্টার ও ৪০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে হরিণ মারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামিম ভুঁইয়া জানান, যেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি, শ্রেণী কক্ষ সংকট ওইসব এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ১০টি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় প্রায় অতিরিক্ত ৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর লেখা পড়ার সুযোগ পাবে।


শেয়ার করুন