সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব

উখিয়ায় রাজনৈতিক নেতার নিয়ন্ত্রণে বালি বাণিজ্য

6efe01b1dc29f9913391a35cf1ff8336_XLশফিক আজাদ, স্টাফ রিপোর্টার :

সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উখিয়ার প্রায় অর্ধশত স্পট থেকে প্রতিনিয়ত লুটপাটের মাধ্যমে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। সরকারী দলের নেতা-কর্মীর নাম ভাঙ্গিয়ে উক্ত বালি উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট অবৈধ বালি বাণিজ্য করে টুপাইচ ইনকাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফলে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে সরকার কোটি টাকার নিচ্ছিত রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের বালূখালী কাষ্টম্স এবং থাইংখালী খাল থেকে ২ প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নিয়ন্ত্রণে বেপরোয়া বালি বাণিজ্য অব্যাহত থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন তাদের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।
জানা গেছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ উপজেলায় উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতায় অধিকতর বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এক শ্রেণীর অসাধু বালি উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির মনোহরী সুশীল, অফিস সহকারী উত্তম চক্রবর্তী এবং এমএলএসএস আবুল হাশেমের সহ কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করার কারনে সকাল-সন্ধ্যা অর্ধশত স্পট থেকে বালি উত্তোলন করে সরকারী-বেসরকারী উন্নয়ন কাজে সরবরাহ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও তার কোন খবর নেই। উক্ত দুর্নীতিবাজ কর্তাব্যক্তিরা অভিযানে যাওয়ার আগে মুঠোফোনে বালি খেকোদের অবহিত করার কারনে সম্প্রতি উপকূলীয় এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি আধুনিক বালি উত্তোলনকারী মেশিন জব্ধ করা হলেও জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন।
সরজমিন পালংখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এবং লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন কয়েক বছর যাবৎ বালূখালী, থাইংখালী,ধামনখালী থেকে হাজার হাজার গাড়ী বালি উত্তোলন পূর্বক বিক্রি করা হলেও সরকার এক টাকা রাজস্ব পায়নি। বর্তমানেও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা নামধারী সোনা আলী এবং বিএনপি নেতা নামধারী নুরুল আমিন ভুট্টো’র নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত শতাধিক ট্রাক বালি ভর্তি করে বিভিন্ন স্থানে পাচার করে থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, ইজারা ব্যতিত কোন বালি মহাল থেকে বালি উত্তোলন করা হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


শেয়ার করুন