উখিয়ায় মায়ের কবর খননরত ছেলেকে গ্রেপ্তার চেষ্টা: ২ পুলিশকে গণপিটুনি

gonodolai-jugantor_8911চীফ রিপোর্টার, সিটিএন:
উখিয়া উপজেলার সোনাইছড়িতে মায়ের কবর খননকালে ছেলেকে গ্রেফতার করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন দু’পুলিশ সদস্য। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ওই দু’পুলিশ সদস্য ইনানী পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনাইছড়ির নুরুল ইসলামের স্ত্রী ছুবিয়া খাতুন বৃস্পতিবার রাতে মারা যান। মায়ের মৃত্যুতে তাঁর ছেলে মাহমুদুল হক চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি আসেন। তিনি মায়ের কবর খনন করতে সোনাইছড়ি কবরস্থানে যান। মাহমুদুল হক একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী ছিলেন। এ খবর পেয়ে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির দু’পুলিশ সদস্য সাদা পোশাকে মায়ের কবর খনন অবস্থায় মাহমুদুল হককে গ্রেফতার করতে যায়। তারা কবরস্থানে গিয়ে রীতিমতো মাহমুদুল হকের হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেয়। এরপরই ঘটে যত বিপত্তি! মৃত মাকে কবরস্থ করতে গিয়েও পুলিশের রোষানল থেকে বাঁচতে পারছে না- এই বোধ উপস্থিত এলাকাবাসীকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। তাই তারা আগ-পিছ আর কিছু ভাবেননি। এরপরই দু’পুলিশ সদস্যের উপর শুরু করে গণপিটুনি। গণপিটুনিতে কাহিল অবস্থা হয়ে যায় ওই দু’পুলিশ সদস্যের। কয়েক দফা পালিয়ে যেতে গিয়েও ক্ষুব্ধ জনতার রাহুগ্রাস থেকে পালাতে পারেনি তারা। তাই কয়েক দফায় গণপিটুনির শিকার হন তারা। অবশেষে সড়কে টহলরত একটি বিজিবির গাড়ির বদান্যতায় শেষ রক্ষা হয় তাদের। তবে তারও অনেক আগে হাতকড়া নিয়ে অনেক দূরে পালিয়ে গেছে আসামী মাহমুদুল হক।
স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। ঘটনার কিছুক্ষণ পরই ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছেন এবং হাত কড়া উদ্ধারের তৎপরতা চালায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘মায়ের জানাযা থেকে ছেলেকে গ্রেপ্তারের মত ঘটনা খুব লজ্জাজনক।’
এ ব্যাপারে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং পত্রিকায় রিপোর্ট না করার জন্য অনুরোধ জানান।


শেয়ার করুন