উখিয়ায় বয়স্ক ও বিধবা ভাতা প্রদানে ভোগান্তির শিকার

Ukhiya-Pgg32শফিক আজাদ, উখিয়া :

উখিয়ায় সোনালী ব্যাংক থেকে বয়স্ক ও বিধবা ভাতা নিতে এসে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শত শত বয়োবৃদ্ধ মহিলা, পুরুষ। ভোর সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ব্যাংকের সামনে লাইন ধরে পর পর দুই দিন অপেক্ষা করার পরও অনেকেই বয়স্ক ও বিধবা ভাতা পায়নি। এভাবে ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করতে তাদের অনেক টাকা অপচয় হওয়ার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার রাত ৮টায় সোনালী ব্যাংকের সামনে অপেক্ষমান উপকুলীয় এলাকা জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ইমাম উদ্দিন গ্রামের ছালেহ আহমদ (৬৮) ও আবুল বশর (৭০) জানান, তারা ৫০ টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে ৭ মাইল রাস্তা পাড়ি দিয়ে বয়স্ক ভাতার জন্য ব্যাংকে এসেছিলেন। ভোর সকালে লাইন ধরে রাত ৮টা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরও টাকা না নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। একই এলাকার বদিউর রহমান (৬৮), রশিদ আহমদ (৭০) জানান, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সকালে বয়স্ক ভাতার বই জমা নেয়, আবার বিকালে ফেরত দিয়ে বলে আগামীকাল আসুন। এভাবে আমাদেরকে তিন দিন আসা-যাওয়া করতে প্রায় জনপ্রতি ৩শ টাকা করে খরচ হয়ে গেছে। বয়োবৃদ্ধ মহিলা আনোয়ারা বেগম (৬৮) জানান, তাদেরকে সারা দিন ব্যাংকের সামনে টাকার জন্য লাইন ধরে অপেক্ষা করতে হওয়ায় সারা দিন না খেয়ে থাকতে হচ্ছে।

স্থানীয় ইউ,পি, সদস্য মাহমুদুল হক জানান, অনেক বয়োবৃদ্ধ মহিলা ব্যাংকের বারান্দায় লজ্জা সরম ত্যাগ করে পস্রাব করতে বাধ্য হয়েছে। এভাবে দিনভর অনাহারে অপেক্ষা করার পরও অনেকেই টাকা না পেয়ে ফেরত গেছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী উখিয়া ডিগ্রী কলেজ প্রভাষক তহিদুল আলম তৌহিদ জানায়, বিধবা ও বয়স্ক ভাতা নিতে গিয়ে বয়স্কদের এমন দূর্ভোগের চিত্র দেখে নিজেরও খারাপ লাগে। জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা প্রদানে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল একেক ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত বয়স্ক ও বিধবাদের পৃথকভাবে ভাতা প্রদান করা। তা না করে একসাথে সবাইকে বয়স্ক ভাতা প্রদান করতে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার সুভাষ চৌধুরী জানান, তার ব্যাংক থেকে ৫ ইউনিয়নের বিধবা ভাতা, জালিয়াপালং ও রত্নপালং ইউনিয়নের বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। ভাতা নিতে সবাই একত্রে আসার কারণে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।


শেয়ার করুন