উখিয়ায় বোরোর বাম্পার উৎপাদনের সম্ভাবনা

3019a3d0-03e6-49dd-abfd-7e930905f5b6শফিক আজাদ, স্টাফ রিপোর্টার

উখিয়ার বিস্তৃর্ণ বোরো চাষাবাদের সোনালী ধানের হাঁসি দেখে কৃষকেরা মনে করছেন এবার বাম্পার উৎপাদনের সম্ভাবনা। শীষের ভারে নূপে পড়েছে গাছ যা দেখে কৃষক মাতোয়ারা। আর কয়েকদিন কোন ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ না ঘটলে গোলায় ভরা ধান ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন কৃষকেরা। কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, এক ফসলা বৃষ্টির কারনে সেচ সংকট কেটে উঠেছে উঠা সম্ভব হয়েছে কৃষকেদের তাই এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উখিয়া উপজেলার সিকদার বিল গ্রামের মাস্টার জানে আলম জানান, পানির অভাবে লক্ষ্যমাত্রা চাষাবাদ করতে ব্যর্থ হলেও এক ফসলা বৃষ্টির কারনে ফলনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে। তবে বোরো চাষাবাদে ইঁদুরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় সামনে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি আশংকা করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। তবে সেচ ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে কৃষকদের দূর্ভোগের কারণ হলেও বৃষ্টি কারনে তা কোন রকম কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়েছে।
গতকাল বুধবার উখিয়ার সিকদার বিল, দরগাহবিল, টাইপালংসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আর কয়েকদিন পরে ধান পাকাঁ শুরু হবে। দরগাহবিল গ্রামের কৃষক নাজির হোছন জানান, সে ২ একর জমিতে বোরো চাষাবাদ করেছে। সে কানি প্রতি দেড়’শ আড়ি ধান উৎপাদনের আশা করছে। টাইপালং গ্রামের কৃষক রুস্তম আলী জানান, বিগত বছরে তাদেরকে শ্রমিক সংকটের কারণে মাঠের পাকা ধান মাঠেই ঝরে পড়েছে। এবারও শ্রমিক সংকটের গ্যাড়াকলে পড়তে হলে পাকাধান ঘরে তোলা দুষ্কর হয়ে পড়তে হবে। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এনায়েত-ই-রাব্বী জানান, বাকী দিন গুলোতে যদি কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে তাহলে চলতি মৌমুমে বোরোর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে।


শেয়ার করুন