উখিয়ায় বনভূমির পাহাড় কেটে মার্কেট নির্মাণ

SAMSUNG CAMERA PICTURESশফিক আজাদ, স্টাফ রিপোর্টার:

উখিয়ার ধুরুংখালী গ্রামে মন্দির সংলগ্ন বনভূমির পাহাড় কেটে মার্কেট নির্মাণ করার ঘটনা নিয়ে এলাকার সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম উত্তেজনা। মন্দির সংরক্ষণ কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি উখিয়া থানা পুলিশ ও স্থানীয় বন কর্মকর্তাকে অবহিত করার পর বনবিট কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ না হওয়ায় দীর্ঘ দিনের প্রতিষ্ঠিত নারায়ণ মন্দিরটি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ।

সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের সনাতনী ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত গ্রাম ধুরুংখালী বাবু বাজার এলাকায় বিশ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয় নারায়ণ মন্দির নামের একটি পারিবারিক উপাসনালয়। নারায়ণ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা মিলন ধর অভিযোগ করে জানান, একই গ্রামের প্রবাসী মনোরঞ্জন ধরের ছেলে শান্ত শর্মা হলদিয়া বনবিটের হেডম্যান ও বনবিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে গত মাসাধিকাল ধরে মন্দির সংলগ্ন বনভূমির পাহাড় কেটে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মার্কেট নির্মাণ করায় মন্দিরটি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। মন্দিরে যাওয়া-আসার পথরুদ্ধ করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করার ফলে গ্রামবাসী ওই মন্দিরে যাওয়া-আসা করতে পারছে না। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশী বৈঠক হলেও জবর দখলকারী শান্ত শর্মা প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি বার বার দামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এমনকি রাতারাতি নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উখিয়া সহকারি বন সংরক্ষক এম.এ. হাসান জানান, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হলদিয়া বিট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হলদিয়া বনবিট কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন পাহাড় কেটে মার্কেট নির্মাণের সত্যতার স্বীকার করে বলেন, নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য শান্ত শর্মাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ইউ,পি, সদস্য স্বপন শর্মা রনি জানান, বিট কর্মকর্তা ঘটনাস্থল তদন্ত করে চলে যাওয়ার পর পরই শান্ত শর্মা দ্বিগুণ শ্রমিক নিয়োগ করে তড়িগড়ি করে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করছে। এমতাবস্থায়, পারিবারিক উপাসনালয় নারায়ণ মন্দিরটি সম্পূর্ণ অরক্ষিত হয়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে অভিযুক্ত শান্ত শর্মা জানান, বিট কর্মকর্তা মোশারফ হোসেনকে দেওয়ার জন্য স্থানীয় হেডম্যান আব্দুচ সালাম তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে।

 


শেয়ার করুন