উখিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর চাইতে প্রচারণায় মেম্বার প্রার্থীরা এগিয়ে

pic 47_nউখিয়া প্রতিনিধি : ৬ষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর চাইতে মেম্বার প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছে। বিদ্যমান নির্বাচনী প্রচারণায় উখিয়ার ৫টি ইউনিয়নে ২৪৮ জন সাধারণ সদস্য ও ৬৭ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদপ্রার্থী সমানতালে গণসংযোগ সহ মাইকিং, প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখার কারণে চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারণা অনেকটা চাপা পড়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে মেম্বার প্রার্থীরা অনেকটা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন পালংখালী ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ২ জন মেম্বার প্রার্থীকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। অপর দিকে মঙ্গলবার বিকালে হলদিয়াপালং ইউনিয়নে আচরনবিধি লংগন করে মিছিল ও জনসভা করার অভিযোগে ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রাথী ফজল করিমকে ৫ হাজার টাকা ও একই ওয়ার্ডের অপর মেম্বার প্রাথী ডালিম মিয়াকে ৫ হাজার  টাকা জরিমানা করেন
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, পালংখালী ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে ৫০ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১২ জন প্রার্থী নির্বাচন করছে। এছাড়া রতœাপালং ইউনিয়নে মেম্বার পদে ৪২ জন, মহিলা মেম্বার পদে ১৪ জন, রাজাপালং ইউনিয়নে মেম্বার পদে ৫৩ জন, মহিলা মেম্বার পদে ১৫ জন, জালিয়াপালং ইউনিয়নে মেম্বার পদে ৪৭ জন ও মহিলা মেম্বার পদে ১৫ জন, হলদিয়াপালং ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে ৫৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান প্রার্থীর আদলে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী ভোটাররা জানান, প্রার্থীদের একটি মাইক ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। অধিকাংশ গাড়িতে ২টি মাইক দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যেতে দেখা গেছে। এছাড়াও বাধ্যযন্ত্র ব্যবহার করে প্রার্থীর পক্ষে গানবাজনার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর ফলে এলাকার মানুষ শব্দ দূষণের কবলে পড়েছে। সাধারণ জনগণ তথা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ অসহনীয় মাইকিং এর উৎপাতের কারণে স্বাভাবিক কর্মকান্ড চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মাইকিং এর ক্ষেত্রে যারা বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ও নিয়মনীতি উপেক্ষা করছে ওইসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী আইন প্রয়োগকারী ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে নির্বাচনে দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই নির্বাচনী পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বলে ভোটারদের অভিযোগ। বিশেষ করে প্রার্থীর পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এ নিয়ে প্রার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। পোষ্টার লাগানোর ক্ষেত্রে নিয়মনীতি অবলম্বন করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও এ উপজেলার প্রার্থীরা কোনটাই মানছে না। যেখানে সেখানে পোষ্টার ও ব্যানার লাগানোর ফলে নির্বাচনী পরিবেশ ও আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে সচেতন নাগরিক সমাজ দাবী করছেন। এলাকার নির্বাচনী পরিবেশ শান্ত রাখতে প্রশাসনের জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ভোটাররা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে নির্বাচন অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


শেয়ার করুন