উখিয়ায় আমন চাষ গোড়াপঁচা রোগে আক্রান্ত

fdw211শফিক আজাদ, প্রতিনিধি :

উখিয়ায় শত শত একর আমন চাষাবাদ গোড়াপঁচা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। উপর্যপুরি দু’দফা বন্যায় আমন বীজতলা সহ শাকসবজি চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মোকাবেলা করতে গিয়ে কৃষকেরা এমনিতেই আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এমতাবস্থায়, গোড়াপঁচা রোগে আক্রান্ত হয়ে আমন চাষাবাদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে হত দরিদ্র কৃষকেরা হতাশ হয়ে পড়েছে। আমন চাষাবাদের জমিতে বিভিন্ন রোগ বালাইয়ে আক্রান্ত হওয়ার নেপথ্যে কৃষকেরা মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কৃষি কর্তাব্যক্তিদের দায়ী করে বলেন, আমন ফসল রক্ষার জন্য কৃষি অফিসে বার বার ধর্না দিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুপাতে বিসিআইসি চাহিদা অনুপাতে সার সরবরাহ সহ প্রয়োজনীয় উপকরণাদি ডিলারদের মাধ্যমে সরবরাহ করছে। পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমানপাড়া গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন জানায়, উপর্যপুরি দু’দফা বন্যায় তার সমস্ত বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।

নতুন করে বীজতলা তৈরি করে জমিতে চারা রোপন করার এক মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন রোগ বালাইয়ে চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করছে। ধামনখালী গ্রামের কৃষক আলতাজ মিয়া জানান, সাম্প্রতিক সময়ের ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে জমিতে ঠিকমতো চাষাবাদ করতে না পারায়, এমনিতে আমন চাষাবাদ পিছিয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায়, গোড়াপঁচা রোগে আক্রান্ত হয়ে আমন চারা মরে যাওয়ার বিষয় নিয়ে স্থানীয় কৃষি অফিসের ব্লক সুপারভাইজারের পরামর্শ নিতে ব্যাপক খুজাখুজি করার পরও তাকে পাওয়া যায়নি।

গতকাল রবিবার রাজাপালং বটতলী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে কৃষক বদি আলম (২৮) আক্রান্ত ধানের গোছা সহ সাংবাদিকদের অভিযোগ করে জানান, শত শত একর জমির আমন চাষাবাদ গোড়াপঁচা রোগে আক্রান্ত হলেও কৃষি অফিসের কর্তাব্যক্তিদের দেখা মিলছে না। এ সময় রাজাপালং ইউনিয়নের দায়িত্ব ব্লক সুপারভাইজার নাসির উদ্দিন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষককে এমিষ্টার টগ ও প্লেনাম নামের দুইটি কীটনাশক ওষুধ জমিতে প্রয়োগ করার পরামর্শ দিয়ে তার দায়িত্ব শেষ করতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন শীল জানান, ধান গাছে গোড়াপঁচা রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই।


শেয়ার করুন