উখিয়ার ৪০ হাজার একর বনভুমি বন বিভাগের নিয়ন্ত্রনের বাইরে

“সামাজিক বনায়নের আওতায় আনা হলে ১০ বছর পর পাল্টে যাবে হাজারো মানুষের ভাগ্য”

99শফিক আজাদ,উখিয়া প্রতিনিধি।

উখিয়ার ২ বনরেঞ্জের ৪০ হাজার একর বনভুমি বন বিভাগ ও সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে। অধিক জন সংখ্যার চাপ, যত্রতত্র অবৈধ করাত কল, সন্ত্রাসী কাঠ চোরদের দৌরাত্ম, বন কর্মকর্তাদের সদিচ্ছা ও সাধারণ জনগণের দেশ প্রেমের মারাত্মক অভাব এর জন্য দায়ী। সরকারী উদ্দ্যোগে এসব বনভূমি সামাজিক বনায়নের আওতায় এনে স্বল্প মেয়াদী বাগান রোপন করা হলে আগামী ১০ বছর পর সরকার যেমন লাভবান হবেন, তেমনি পাল্টে যাবে উখিয়ার হাজারো মানুষের ভাগ্য। এমন অভিমত সচেতন মহলের।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২টি রেঞ্জ ও ১১টি বন বিটের অধীনে প্রায় ৪০ হাজার একর সরকারী বন ভুমি রয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রত্যেক সরকারের আমলেই উখিয়ার সরকারী বনভুমিতে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে বাগান রোপন করা হয়। উক্ত বাগানের চারা গাছ গুলো বড় হওয়ার সুযোগ পায়না। সন্ত্রাসী কাঠচোর ও বন দস্যুরা প্রতিনিয়ত দিন দুপুরে ও রাতের আধারে পৈত্রিক সম্পত্তির মত কেটে নিয়ে যায়। বন কর্মকর্তারা শত চেষ্টা করেও কাঠ চোর সন্ত্রাসী ও বন দস্যুদের দমন করতে পারেনা। যার কারণে এক সময়ের বনজ সম্পদে ভরপুর উখিয়ার বন ভুমিতে এখন বৃক্ষ নেই। বিস্তৃর্ণ বনায়ন এলাকা যেন বিরান ভুমি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এখানকার বিস্তৃর্ণ বন ভুমি সরকারী উদ্দ্যেগে সামাজিক বনায়নের আওতায় এনে স্বল্প মেয়াদী বাগান করা হলে সরকার এবং সাধারণ জনগণ উভয়েই লাভবান হওয়া যাবে। একটি পরিবারকে ২একর বনভুমি রক্ষণা-বেক্ষণ ও বাগান রোপনের সুযোগ দেয়া হলে ২০ হাজার পরিবারকে সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীর আওতায় আনা সম্ভব হবে। এসব বাগানে নিজেদের স্বার্থ জড়িত থাকায় পরবর্তীতে উপকারভোগীরাই নিজ উদ্যোগে বাগান রক্ষা করবে। হলদিয়া পালং বনবিটের বিট কর্মকতা জামাল উদ্দিন মিয়া জানান, ২একর বনভুমিতে স্বল্প মেয়াদী বাগান করে সঠিকভাবে রক্ষণা বেক্ষণ করা হলে ১০ বছর পর কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকার গাছ বিক্রি করা সম্ভব হবে। উখিয়া রেঞ্জের  সহকারী বন সংরক্ষক ইব্রাহিম জানান, খুব শিঘ্রই সরকার ও বন বিভাগ উখিয়া-টেকনাফের বিস্তৃর্ণ বনভুমি সামাজিক বনায়নের আওতাধীন আনার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। তিনি সরকারের এ উদ্দ্যোগকে উখিয়া-টেকরাফবাসীর জন্য সু-খবর বলে আখ্যায়িত করেছেন।


শেয়ার করুন