প্লট আকারে বিক্রি হচ্ছে বনভূমি

উখিয়ার মুছারখোলা বিট কর্মকর্তা দুর্নীতি চরমে

downloadশফিক আজাদ, উখিয়া :
উখিয়া উপজেলার দুর্গম পাহাড়ী এলাকা মুছারখোলা বিটের ২৩০৫ হেক্টর বনভূমি ও বনসম্পদ দিন দিন বিরাণ ভূমিতে পরিনত হতে চলেছে। সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজ বিট কর্মকর্তা উত্তরবঙ্গ থেকে শাস্তিমূলক বদলী হয়ে ৫/৬মাস পূর্বে এখানে এসে বনভূমির জায়গা প্লট আকারে বিক্রি শুরু করেছে। এছাড়া ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে কোটি টাকার বনায়ন প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে ভিলেজারদের নিকট হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। তার এহেন অনিয়ম,দুর্নীতি ও অপকর্মের কারনে মুছারখোলা বিটে লোকজন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে বলে জানা গেছে।
সরজমিন উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের মুছারখোলা, তেলখোলা এলাকা ঘুরে এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানাগেছে, মুছারখোলা বিট কর্মকর্তা মাসুদ সরকার উক্ত বিটে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম,দুর্নীতি করে যাচ্ছে। এলাকার হতদরিদ্র ও অশিক্ষিত লোকজনকে বিট কর্মকর্তা বন মামলার ভয় দেখিনোর কারনে কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহজ পাচ্ছেনা। এমনকি মুছারখোলার লোকজন তার কাজে এক ধরনের জিম্মি হয়ে পড়েছে। মুছারখোলা এলাকার কবির আহমদ (৪৫) নামে এক ব্যক্তি বলেন, পালংখালী ও থাইংখালী এলাকার কতিপয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ব্যবহার করে মুছারখোলা বিটের বনভূমি প্লট আকারে বিক্রি করে যাচ্ছে বিট কর্মকর্তা। বাধা দিলে ওই সব সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে বিভিন্ন মামলা,হামলা সহ পালংখালী ও থাইংখালী ষ্টেশনে না যাওয়ার জন্য হুমকি প্রর্দশন করে থাকে। যার ফলে নিরূপায় হয়ে প্রতিবাদ করতে পাচ্ছিনা। এ ধরনের অভিযোগ আরো অনেকের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বনবিভাগের এক কর্মচারী তার ব্যাপারে এ প্রতিবেদককে বলেন, ওই বিট কর্মকর্তা শুধুমাত্র অনিয়ম,দুর্নীতিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সে একজন নারী লোভীও। সম্প্রতি মুছারখোলা এলাকায় এ ধরনের একটি ঘটনার সাথে জড়িত হওয়ার কারনে তাকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে। এ বিষয়টি তার সাথে কর্মরত এক বনমালী ও শিকার করেছেন। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত বিট কর্মকর্তা মাসুদ সরকার বলেন, এলাকার কিছু বনখোকা আমার কারনে সুবিধাভোগ করতে না পারায় আমার বিরুদ্ধে এধরনের মিথ্যা অভিযোগ ও অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে। আমি এ ধরনের ঘটনার সাথে কোন সময় জড়িত নাই এবং ছিলাম না। আর বিশ্ব ব্যাংকের বনায়ন প্রকল্পে যে সব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে তাও সম্পূর্ণ অবান্তর। যেহেতু এ গুলো সরাসরি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদারকি করে থাকেন।
উখিয়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মির আহমদ বলেন, কোন বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অনিয়ম,দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিপূর্বে উখিয়ায় একবিট কর্মকর্তা ও একজন রেঞ্জ কর্মকর্তা বহিস্কার হয়েছেন বলে তিনি জানান।


শেয়ার করুন