উখিয়ার বনবিশ্রামাগার পরিত্যাক্ত

5fb156d6-7df6-426c-a2ab-9e84376ed60aফিক আজাদ, স্টাফ রিপোর্টার

দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত ইনানীর পরে সম্ভাবনাময়ী পর্যটন স্পট উখিয়ার বনবিশ্রামাগার পরিত্যাক্ত। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার দক্ষিণ ষ্টেশন থেকে মাত্র শত গজ উত্তরে সদর বনরেঞ্জের নিয়ন্ত্রণাধীন ১৯৫২সালে প্রতিষ্টিত এ বনবিশ্রামাগারটি এখন থেকে ও নেই। দেশি-বিদেশী পর্যটক সহ সরকারী-বেসরকারী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা এখানে আসলে রাতযাপনের জন্য এককালের এটি বিনোদন স্পট হিসাবে সমাদৃত থাকলেও সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের খালখেয়ালিপনা ও উদাসিনতার কারনে এ প্রকল্পটি এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। রেঞ্জ কর্মকর্তা বললেন, অর্থ বরাদ্দ না থাকায় এটি সংস্কার করা যাচ্ছেনা।
এ উপজেলার ১৪টি বনবিট ও ২টি বন রেঞ্জ নিয়ে গঠিত বনবিশ্রামাগারে এক সময় বিভিন্ন এলাকার পর্যটকেরা শকের বসে বেড়াতে আসতেন। মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠা এ বনবিশ্রামাগারটি পিকনিক স্পট হিসাবে বিশাল পরিচিতি লাভ করায় প্রতি বছর অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্টান সহ বিভিন্ন শায়িত্বশাষিত প্রতিষ্টান এখানে পিকনিক করতে এসে বিড়ম্ববনার শিকার হয়নি। উপরন্ত বন বিভাগ থেকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছে। পাশাপাশি অভ্যান্তরিন ও দলীয় সভা-সমাবেশ, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্টান প্রভৃতি এ বনবিশ্রাগারে এসময় অনুষ্টিত হয়ে আসছিল।
সম্প্রতি বনবিশ্রামাগারটি ঘুরে দেখা যায়, জানালা, দরজা, আসবাবপত্র ভেঙ্গে গেলেও সে সময়ের কারু শিল্পীদের হাতে গড়া নির্মিত বনবিশ্রামাগারে অনেক স্মৃতি এখনো কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। বনবিশ্রামাগারের রক্ষণা-বেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কেয়ারটেকার রাশেদা বেগম জানান, এখানে শতাধিক অতিথির রান্নাবান্নার যাবতীয় সরঞ্জাম ছিল। এবং আনন্দ-বিনোদনের সুপরিসর সহ রাত্রীযাপনের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু এখন আর তা নেই। এখানে রাত্রী যাপনের জন্য বনবিশ্রামাগারটি নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য সে জানান, ঝরাঝীর্ণ এই ভবনটি সংস্কার করা না হলে অচিরেই তা বিলুপ্ত হয়ে যেকোন সময়ে বেদখল হয়ে যেতে পারে। উপজেলা সদর বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, বরাদ্দ না থাকার কারনে বনবিশ্রামাগারটি সংস্কার করা যাচ্ছেনা। তিনি এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বেশ কয়েকবার লেখাখেলি করেছেন বলেও সাংবাদিকদের জানান।


শেয়ার করুন