উখিয়ার উপকুলীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে অন্তহীন সমস্যা

1432485290_Ukhiya1শফিক আজাদ, স্টাফ রিপোর্টার :

সাগর, পাহাড় বেষ্টিত লোকালয় উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মাদারবনিয়ায় ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত ছেপটখালী মাদারবনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়টি আর্থিক সংকটে নানা সমস্যায় জর্জরিত। নিু মাধ্যমিক স্তরের গুন্ডি পেরিয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত হওয়ার পথে এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা সাময়িক, বাৎসরিক সহ জেএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাস করে প্রশাসনের প্রশংসিত হলেও সমস্যা সংকট সমাধানে কেউ এগিয়ে না আসার কারণে শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীদের অসহনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে উপকুলীয় এলাকার শিশুরা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ে অশিক্ষায়, কুশিক্ষায় জীবন অতিবাহিত করে আসছিল যুগ যুগ ধরে। এলাকাবাসী জানান, মেরিন ড্রাইভ সড়ক উন্নয়নের ফলে পাল্টে যেতে শুরু করে উপকুলের সার্বিক চিত্র। এরই ধারাবাহিকতায় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির আর্থিক সহযোগীতায় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম খানের প্রশাসনিক সহযোগীতায় ২০১২ সালে উপকুলের মাদারবনিয়া ছেপটখালী উপকুলীয় উচ্চ বিদ্যালয় নামকরণের মধ্য দিয়ে এ নিু মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মাষ্টার মোকতার আহমদ জানান, ৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী দিয়ে পরিচালিত এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে আড়াই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। তিনি আরো জানান, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত জেএসসি পরীক্ষায় একজন ছাত্রী এ প্লাস সহ শতভাগ পাস করেছে। আসন্ন জেএসসি পরীক্ষায় ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসবাবপত্র সহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মানসম্মত পড়ালেখার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশের প্রচুর সম্ভাবনা থাকা স্বত্ত্বেও শিক্ষক স্বল্পতার কারণে তা হচ্ছে না।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট শাহজালাল চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার বদৌলতে গড়ে উঠা উপকুলের একমাত্র নিু মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি বহুমুখী সমস্যার কারণে উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত হওয়ার প্রক্রিয়া বার বার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে দাবী করে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী শাহজাহান ও মৌলভী আবুল বশর জানান, চাহিদা মতো সরকারি অনুদান বরাদ্দ না থাকার কারণে বিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম সম্প্রসারিত হচ্ছে না। যে কারণে নবম শ্রেণীতে উন্নীত ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যত্রে বাধ্য হয়ে চলে যেতে হচ্ছে অথবা আর্থিক দুর্দশাগ্রস্থের কারণে কারো কারো শিক্ষাজীবন ইশতফা দিতে হচ্ছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, পরিবেশগত দিক দিয়ে বিদ্যালয়টি সর্বজননন্দিত হলেও মান উন্নত করণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। তিনি এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে নিু মাধ্যমিক বিদ্যালয় উচ্চ বিদ্যালয়ে রুপান্তরের দাবী জানিয়েছেন।

 


শেয়ার করুন