গ্রাহকরা অতিষ্ট

ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুতের দালালদের অবাধ বিচরণ

dalal1মোঃ আবুল কাশেম ঈদগড় :

কক্সবাজারের রামুর ঈদগড়ে দিন দিন আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুতের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রিত দালালচক্র।আর এদের অবাধ বিচরণে অতিষ্ট হয়ে পড়ছে পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় গ্রাহকরা। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গ্রামীন জনপদে তথা ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়া লক্ষ্যে আগের চাইতে বেশী পরিমাণ বিদ্যুত উৎপাদন করে।কিন্তু তারই সুফল ভোগ করতে পারছেনা গ্রাহকরা দালালদের কারণে।ফলে ভেস্তে যাচ্ছে সরকারের সুনাম।প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ,ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুত অফিসের ওয়ারিং ইন্সপেক্টর মো:ইমরান ও সহকারী জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা ঢালীর নেতৃত্বে গড়ে ওঠেছে ঈদগড়ে দালাল চক্র।বর্তমানে এলাকায় বিদ্যুত সম্প্রসারণ করায় নতুন গ্রাহকরা মিটারের আবেদন করতে গিয়ে এসব দালাল ছাড়া কোন প্রকারেই নতুন সংযোগ নিতে পারছেনা।সূত্রে প্রকাশ,১টি মিটারের সংযোগ নিতে র্নিধারিত ফি ৭৫০টাকার স্থলে দালালেরা ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৫/১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে।জানা যায়,মিটারের আবেদন করার পর তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে দালালরাও প্রতিনিয়ত উপস্থিত থাকে।এসব দালালদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের কে সংবাদকর্মী,রাজনৈতিক দলের নেতা,পল্লী বিদ্যুত অফিসের নিয়োগ প্রাপ্ত ইলেকট্রিশিয়ান পরিচয় দেয় এবং তাদের ব্যতীত মিটার সংযোগ হবে না মর্মে জানান।ফলে গ্রাহকেরা নিরুপায় হয়ে তাদের শরণাপন্ন হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।দালালদের মাধ্যমে সংযোগের আবেদন করা না হলে এক মাসের পরির্বতে তিন মাসেও মিটার প্ওায়া সম্ভব হয় না।এই নিয়ে পল্লী বিদ্যুত কর্মকর্তাদের তদারকি না থাকায় র্নিধারিত ফি এর চেয়ে বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় অসাধু দালালরা।ঈদগড় খোন্দাকার পাড়া এলাকার বাসিন্দা এস,এম রেজাউল করিম জানান,উল্লেখিত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা ঢালী ঘুষ না পেলে সিএমও হওয়া ফাইল পর্যন্ত আটকে রাখে এবং স্থানীয় দালাল মো:ইউছুপ,কাশেম সহ আরো অনেকের মাধ্যমে মিটার সংযোগের নামে অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।শুধু তা নয় মিটার স্থানান্তর বাবদ ১হাজার পাঁচশত টাকার পরিবর্তে ছয় হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এমন অভিযোগ করেন ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন ।স্থানীয় সাংবাদিক আবুল কাশেম জানান,ইতিপূর্বে মিটার সংযোগের জন্য বহিরাগত যে কোন ইলেকট্রিক এর দোকান হতে মালামাল(র্আথিং রড ও মিটার বোর্ড)কিনতে পারলেও বর্তমানে উপরোক্ত কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের কারসাজিতে তাদের র্নিধারিত দোকান হতে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে এবং মিটার তদন্ত বাবদ কর্মকর্তা ইমরান মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগের মাত্রা দিন দিন বাড়ল্ওে ঊর্ধ্বতন র্কতৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ঈদগড়ের বিদ্যুত গ্রাহকরা হতশায় ভুগছেন।এই ব্যাপারে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুত অফিসের জি,এম নূর মোহাম্মদ মজুমদার জানান,ইউছুপকে ইলেকট্রিশিয়ান পদ হতে বাতিল করা হয়েছে এবং ইমরান ও ঢালীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অভিযুক্ত ঢালী ও ইমরান জানান,অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার ব্যাপারে অফিসে কোন অভিযোগ নেই এবং ঈদগড়ে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি পল্লী বিদ্যুতের সহিত জড়িত রয়েছে।পাশাপাশি আমরা কোন প্রকার ফাইল আটকে রেখে টাকা-পয়সা নিই না।


শেয়ার করুন