ঈদগাঁও’র অভ্যন্তরীণ সড়কে গতিরোধক নেই: বাড়ছে দুর্ঘটনা

downloadঈদগাঁও প্রতিনিধি:
কক্সবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁও’র অভ্যন্ত্যরীণ সড়কগুলোতে প্রয়োজনীয় স্থানে গতিরোধক না থাকাতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা। এতে অকালে ঝরে পড়েছে অনেক মূল্যবান তাজা প্রাণ। এদিকে একের পর এক প্রতিযোগিতামূলক অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চলাচলের কারণে ঘটে চলছে সড়ক দুঘর্টনা। বিশেষ করে লবণ শিল্প এলাকা ইসলামপুর প্রবেশদ্বার বটতলী স্টেশন, জেলার ডেঞ্জার জোন খাতে নাপিতখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় টানিং, ডুলাফকির টানিং, তেঁতুলতলী মোড, ঈদগাঁও বাস স্টেশন, খোদাইবাড়ী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা, ফরিদ আহমদ কলেজ গেইট, আলমাছিয়া মাদ্রাসা গেইট, মেহেরঘোনা জব্বারিয়া মাদ্রাসা’র সম্মুখস্থ সড়কসহ বৃহত্তর ঈদগাঁও’র ব্যস্ততম মহাসড়কের পয়েন্টগুলোতে গতি না থাকাতে প্রায়শঃ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। যে কারণে অনেক সম্ভাবনাময়ী প্রাণ অকালে ঝরে পড়েছে।
এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগই মহাসড়কের সন্নিকটে হওয়ায় স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীরাই সিংহভাগ দুর্ঘটনায় প্রায় শতাধিক মহামূল্যবান জীবন উল্লিখিত পয়েন্টগুলোতে নিঃশেষ হয়েছে। আহত হয়েছে অজস্র জন। স্থাপন করলেও ঈদগাঁওর মত গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকাতে অদ্যাবধি কোন গতিরোধক স্থাপনা করাতে দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সচেতন মহলের অভিমত।
শুধু গতিরোধক স্থাপনই শেষ কথা নয়, দুর্ঘটনা রোধে নিয়ন্ত্রিত যান চলাচল, প্রশিক্ষিত চালক, সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজরদারী ও সর্বোপরি জনসচেতনতাই অব্যাহত দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি দিতে পারে বিজ্ঞ মহলের ধারণা। তবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মতে, মহাসড়কসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের চিহ্নিত পয়েন্টগুলোতে দ্রুততম সময়ে যদি গতিরোধক ব্যবস্থা সৃষ্টি করা হয় তাহলে বহু দুর্ঘটনার কবল থেকে মুক্তি পাবে বিশাল এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে দ্রুত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন জনগণ।


শেয়ার করুন