ঈদগাঁওতে

বেড়েই চলেছে চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্ম

crime-1428118704নুরুল আমিন হেলালী :

কক্সবাজার সদরের বৃহত্তম বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাঁওতে সম্প্রতি বেড়েই চলেছে চুরি, ডাকাতি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্ম। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতাই ভুগছে ব্যাবসায়ী, চাকুরিজীবি, শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষ। সম্প্রতি কয়েকটি আলোচিত ঘটনায় পুলিশের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে সবচেয়ে বেশী। এছাড়া অভিভাবক শুন্য ঈদগাঁও বাজার দিন দিন অরক্ষিত হয়ে পড়াতে বাজারে বেড়েই চলছে চুরি থেকে শুরু করে নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড।

এলাকার কিছু চিহ্নিত অপরাধীদের ভয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীরাও মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা বলে সুত্রে প্রকাশ। বিভিন্ন রাজনৈতিকদলের কিছু হাইব্রিড নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদ আর ঈদগাঁও পুলিশের ম্যানেজ মানিকে পুঁজি করে চক্রটি সম্প্রতি বেপরোয়া হয়ে বাজারের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগে রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, কক্সবাজার সদরের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাঁও বাজার বৃহত্তর এলাকার ৩ লক্ষাধিক জনসাধারণের যাবতীয় চাহিদা পূরণের প্রধান কেন্দ্রস্থল।

অতীতে বাজার ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তায় সরকারী ও বেসরকারীভাবে একাধিক সংগঠন গড়ে উঠলেও অভ্যন্তরীণ নানা কোন্দলে তা ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রধান এ বাণিজ্যিক এলাকা অভিভাবক শুন্য হয়ে পড়ার পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতায় নিপতীত হচ্ছে। বিশেষ করে বাজারের বিভিন্ন অংশ একাধিক ইউনিয়নের অধীন হওয়ায় নিরাপত্তা ও বাজারের উন্নয়নে ব্যবসায়ী সংগঠনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে স্বার্থ সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে মতভিন্নতার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে অরক্ষিত হয়ে আছে এ বাণিজ্যিক এলাকা।

একদিকে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ইউপির গ্রামীন আদালত অকার্যকর থাকা অপরদিকে অপরাধীদের সাথে ঈদগাঁও পুলিশের কম্প্রমাইজ মানির সুযোগে এলাকার চিহ্নিত অপরাধীচক্র ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে ঈদগাঁওতে দিন দিন বেড়েই চলেছে গরু চুরি, ছিনতাই, ওজনে কম দেয়া, জমি দখল কন্ট্রাক্ট, নদী দখল, কাঠ পাচার, নির্বিচারে বালি উত্তোলন, ইয়াবা ও পতিতা ব্যাবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড। প্রতিটি অপরাধ সংগঠিত হওয়ার সময় কিংবা পর ঈদগাঁও পুলিশ অবগত হলেও তারা কার্যকর কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সুবিধাভোগী কিছু রাজনৈতিক পাতি নেতাদের মাধ্যমে নিজেদের ম্যানেজ মানি নিশ্চিত করে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।

জানা যায়, গত কয়েকদিনে ঈদগাঁও, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, ইসলামপুর থেকে ডজন খানেক গরু চুরি হলেও প্রকৃত পেশাদার চোরদের সনাক্ত করতে পারে নি ঈদগাঁও পুলিশ। যার কারণে দিনের পর দিন চক্রটি অপরাধ কার্যক্রম আশংকাজনক হারে বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে গরুর মালিক ও ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এছাড়া ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এখন কিছু রাজনৈতিক মূখোশধারীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। সাধারন মানুষ পুলিশের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়া জানান, কিছু কিছু ঘটনা ঘটেনি তা বলা যাবেনা তবে আমরা অবগত হওয়ার সাথে সাথে অপরাধীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।


শেয়ার করুন