টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের দাবি উপকুলবাসীর

ইয়াস’র প্রভাবে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

হুমায়ুন সিকদারঃ

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র প্রভাবে কক্সবাজার উপকূল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে। ২৬ মে সকালে কুতুবদিয়া, ধলঘাটা, মাতারবাড়ি, শাহপরীর দ্বীপ, সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে হাজার হাজার ঘরবাড়ি, দোকান পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জোয়ারের পানিতে একাকার হয়ে যায়।
অনেক লোকজন পানিবন্দি রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন ধরণের ক্ষয়ক্ষতি ও হয়েছে। নাজিরারটেক শুটকি মহাল, মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে।
টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের দাবি উপকুলীয় এলাকাবাসীর।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল থেকে কক্সবাজার উপকূলে প্রবল ঝড়ো হাওয়া বইছে।

ঘুর্ণিঝড়টি ভারতের উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হেনেছে।
এদিকে এর প্রভাবে সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চলে ব্যাপক প্লাবিত হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। এছাড়া গাছ ও কেয়াবন উপড়ে পড়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপ, শাহপরীর দ্বীপ এবং টেকনাফে গতরাত থেকেই ঝড়ো হাওয়া বইছিল।

বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে সমুদ্রের পানি প্রবেশ করে কুতুবদিয়া, শাহপরীর দ্বীপ, মহেশখালী এবং জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, তারা জেলার ৫৩৮ টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে আশ্রয় দেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল।
জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হাজারো পরিবারের মাঝে শুকনো খাবারের প্রয়োজন পড়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সুত্র জানায় কক্সবাজারে ৩ নম্বর সংকেত এখনো বলবত রয়েছে।


শেয়ার করুন