ইয়াবা পাচারে বাধা দেওয়ায় গ্রাম পুলিশকে হত্যার হুমকি

শফিক আজাদ, উখিয়া:

উখিয়ার পার্শ্ববর্তী ঘুমধুম রেজু বরইতলি এলাকায় গত বুধবার রাতে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় গ্রাম পুলিশের সদস্যরা ইয়াবা ও মাদক বহনকারী একটি নাম্বার বিহীন গাড়ী গতিরোধ করে প্রতিবাদ করার ঘটনায় ইয়াবা পাচারকারী উখিয়া উপজেলার পাতাবাড়ী এলাকার সাহাব মিয়ার ছেলে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী আলী আহমদ(৩২) প্রকাশ্যে ওই গ্রামপুলিশকে মামলা, হামলা ও হত্যা হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘঁনায় গ্রাম পুলিশ ছৈয়দ আলম বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ করেছে।
অভিযোগের সুত্রে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ ছৈয়দ আলম (৩০) আনসার ভিডিপি’র কমান্ডার সুলতান আহমদ (৫৫) দীর্ঘদিন যাবত সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান, ইয়াবা ও মাদক পাচারের ব্যাপারে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে তথ্য সরবরাহ দিয়ে আসছিল। এদিকে গত ২৮জানুয়ারী সন্ধ্যার দিকে একটি প্রাইভেট নোহা গাড়ী নিয়ে বিপূল পরিমাণ ইয়াবা ও মাদক নিয়ে আসার খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা ৫/৬জন লোক রেজু বরইতলি এলাকায় গতিরোধ করতে চাইলে গাড়ির চালক তাদেরকে চাপা দেওয়া চেষ্টা করে এক পর্যায়ে গতিরোধকারীরা পাশ্ববর্তী খাদে লাফ দেয়। সেখান ওঠতে নাম ওঠতে দ্রুত ওই নোহা গাড়ীটি নিয়ে উক্ত পাচারকারী অজ্ঞাতস্থানে সটকে পড়ে। গ্রাম পুলিশ সদস্য ছৈয়দ আলম জানান, ওই গাড়ীতে ১৫ হাজার ইয়াবা সহ ১০/১৫ লাখ টাকার বিভিন্ন ব্রান্ডের মাদকদ্রব্য ছিল। তারা গোপন সুত্রের পেয়ে গাড়ীটি গতিরোধ করতে চেষ্টা করে কিন্তু পাচারকারী আলী আহমদ তা বুঝতে পেরে এ ঝুকি হাতে নিয়ে গাড়ী পালিয়ে যায়। এরপর থেকে ইয়াবা পাচারকারী আলী আহমদ ০১৮৩০১৯১৩১৬ নাম্বার থেকে বিভিন্ন হুমকি,ধমকি দিয়ে আসছে। পরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আমি নিজে বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে পাচারকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই ভাবে ওই পাচারকারী গতকাল ৩১ জানুয়ারী বিকেল ৪টার দিকে ৫০ বোতল বিয়ার নিয়ে আসার সময় খবর পেয়ে রেজু বরইতলি এলাকা থেকে গ্রাম পুলিশ ছৈয়দ আলমের সহযোগিতায় রেজু মনজয়পাড়া বিজিবি’র সদস্যরা ধাওয়া করে বিয়ার গুলো উদ্ধার করে। এতে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন নায়েব সুবেদার মুহাম্মদ মুবিন।


শেয়ার করুন