ইসলামে সততার গুরুত্ব

goon-400x212সিটিএন ডেস্ক:
সততা চরিত্রের একটি শ্রেষ্ঠ গুণ। মানুষের জীবনে এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আল্লাহ তা’আলা দুনিয়াতে ও আখেরাতে তাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। সত্যিকার মুমিন সততাকে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থেকে ঊর্ধ্বে মনে করেন। কেননা তারা জানেন, এটি ঈমান ও ইসলামের পূর্ণতা দান করে। সততা ও বিশ্বস্ততার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সৎ-স্বচ্ছবাদী ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গী হও।’ ( সূরা তাওবা : ১১৯)।
অসংখ্য হাদিসে ও সততার গভীরতার বিষয়টি ফুটে ওঠে। রাসূল (সা:) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়তের বিশুদ্ধতা ও সততা সাথে আল্লাহর পথে শহীদ হওয়ার সৌভাগ্য অর্জনের প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাকে শহীদের মর্যাদায় পৌঁছাবেনৃ যদিও সে বিছানায় মৃত্যুবরণ করে।’ (মুসলিম)। অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সততা, আন্তরিকতার সাথে শাহাদত লাভ করতে চায়, শহিদ না হলেও শহীদের মর্যাদা ও সওয়াব দেয়া হবে।’ (মুসলিম)।
সুতরাং বান্দাকে সদা সর্বদা কথা ও কাজে সততা ও স্বচ্ছতা রক্ষা করতে হবে এবং মিথ্যার অভিশাপ ও গ্লানি থেকেও বাঁচাতে হবে। রাসূল (সা:) আরো বলেছেন, ‘তোমাদের উচিত সততা ও স্বচ্ছতা অবলন্বন করা। কেননা সততা ও স্বচ্ছতা মানুষকে পুণ্যের পথে পরিচালিত করে। আর পুণ্য জান্নাতের দিকে পরিচালিত করে। কোনো ব্যক্তি যখন স্বচ্ছ কথা বলে এবং সততা ও স্বচ্ছতার গুণ বৈশিষ্ট্য অর্জন করে- তখন আল্লাহর কাছে স্বচ্ছবাদী সিদ্দিক হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়। ‘আর তোমরা মিথ্যা থেকে বিরত থাক। নিঃসন্দেহে মিথ্যা পাপের দিকে চালিত করে। পাপ জাহান্নামে নিয়ে যায়। ব্যক্তি যখন মিথ্যা বলে এবং মিথ্যায় মনোনিবেশ করে, তখন তার নাম আল্লাহর কাছে মিথ্যাবাদী হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়।’ অতএব, প্রকৃতিগতভাবেই সৎ ও স্বচ্ছবাদী হবে এবং কখনোই মিথ্যাবাদী হবে না। এটি পাপ, অন্যায় অপরাধের মূল উৎস। মিথ্যার চর্চা ও প্রচলন ফলে মুসলিম সমাজে নিফাক, খিয়ানত ও প্রতারণার মতো নৈতিক অধঃপতনও বিকৃতি দেখা দেয়।
তাই আমাদের প্রত্যেক সততার গুণে গুণান্বিত হওয়া উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই সততার গুণে গুণান্বিত হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন।


শেয়ার করুন