ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়: শত বছরের স্বপ্নপূরণ

DSC05126মুহাম্মদ শামসুল হক শারেক

এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তব, ‘ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়’। দেশের ইসলামী জনতার প্রাণের দাবী শত বছরের স্বপ্ন ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় এখন বাস্তব রূপ পেয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ-শুরু হয়েছে এর কার্যক্রম। আর এটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের প্রচেষ্টায়। জাতির শত বছরের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি, ইসলামী ব্যক্তিত্ব, দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক দেশের বরেণ্য সাংবাদিক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দিন ও জমিয়াতের মহাসচিব প্রিন্সিপ্যাল আল্লামা শাব্বির আহমদ মোমতাজী। স্বাধীনতার আগেও পরে অনেক সরকার ও সরকার প্রধান এই দাবীর কথা জেনেছেন, শুনেছেন। কিন্তু দেশের ইসলামী জনতার এই যৌক্তিক দাবী পূরণে আন্তরিকতা ও দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে এসেছেন বঙ্গবন্ধু কন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি দেশবাসীর জন্য যেমন খুশির বিষয়। এই মহৎ দাবী পূরণের সুযোগ হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্যও এটি সৌভাগ্যের বিষয়। এ জন্য দেশবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রীকে জানাচ্ছি অভিনন্দন ও মোবারকবাদ। এর পেছনে রয়েছে মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত, দেশের শত শত আলেম ওলামা, পীর মশায়েখ, মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দোয়া প্রচেষ্টা ও অবদান। এছাড়াও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, কর্মকমর্তা-কর্মচারীসহ যারা যেভাবে এই মহৎকাজের পেছনে অবদান রেখেছেন তা হবে চির ভাস্বর ও অম্লান।
ছাত্র জীবন থেকে এপর্যন্ত শুনে আসছিলাম একটি স্বতন্ত্র ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবীর কথা। মাদ্রাসার ছাত্র থাকাকালীন সময়ে এজন্য অনেক মিছিল মিটিং ও করেছি। স্বাতন্ত্রত্ব বজায় রেখে মাদ্রাসা শিক্ষার মানোন্নয়ন ও আধুনিকায়ণে স্বতন্ত্র ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবীর যৌক্তিকতা ছিল অনস্বীকার্য। কিন্তু যুগের পর যুগ সরকার গুলো এই দাবীকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ায় দেশের ইসলামী জনতা অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছিল, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় এর দাবী কোন দিন পূরণ হবে কি না এনিয়ে। কিন্তু না দেশের সর্ব বৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আসছিল। জমিয়াতের সেই অক্লান্ত পরিশ্রমের সুফল ‘ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়’ স্বপ্ন থেকে আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুর হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ ঢাকায় জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে বিশাল প্যান্ডেলে আয়োজন করা হয় এক শুকরিয়া সমাবেশ ও দোয়া মাহফিলের। এতে উপস্থিত ছিলেন দেশের ১২৬০ টি কামিল ও ফাজিল মাদ্রাসার সম্মানিত প্রিন্সিপ্যাল ও পীর মশায়েখ গন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষাবন্ধু উপাধী প্রাপ্ত শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আহসান উল্লাহ সাঈদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা শিল্পপতি সালমান এফ রহমান, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এমপি বজলুল হক হারুন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি আলহাজ্ এ এম এম বাহাউদ্দিন, মহাচসিব মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী ও ইসলামী আবরী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
ছাত্র জীবন থেকেই ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আগ্রহ ছিল অনেক। এই দাবীতে অনেক মিছিল, সমাবেশ, আন্দোলনও করেছি। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয় শুরুর প্রাক্কালে মহতী অনুষ্ঠানে আমি শরিক হব না? তা তো হয়না। এই ভাবনা থেকেই ওই সমাবেশে আমিও যোগদান করি। ওই সমাবেশে যোগদিতে কক্সবাজার ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা জাফর উল্লাহ নূরীর সাথেই আমি সফরসঙ্গী হলাম। সাথে পেয়েছিলাম সিতাকুন্ড আলীয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল (কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব) মাওলানা মাহমুদুল হক ও কক্সবাজার আদর্শ মহিলা কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা ফরিদ আহমদ চৌধুরীসহ আরো অনেক মাদ্রাসা প্রধানদের।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সুযোগ্য সভাপতি, দেশের বরেণ্য সাংবাদিক দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দিন জমিয়াতের দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রথমে সম্মেলন করেছিলেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মাঝামাঝি সময়ে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে। ওই সম্মেলনে তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন ‘মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌক্তিক দাবী মানতে হবে। এই দাবী না মানলে চরম খেসারত দিতে হবে’। সেই দিন গাউছুল আযম কমপ্লেক্সে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবেশে অনুষ্ঠান শুরুর আগে সম্পাদক মহোদয়ের সাথে আমার সাক্ষাত হয় প্যান্ডেলের বাইরে। সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আহসান উল্লাহ সাঈদ, জামিয়াতের মহাসচিব মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী। সেখানে আমার কাঁধে হাত রেখে সম্পাদক মহোদয় সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন ‘শারেক সাহেব মনে পড়ছে আমি জমিয়াতের দায়িত্ব নেয়ার পর ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবীতে প্রথম সম্মেলন করেছিলাম কক্সবাজারে। সেই সম্মেলনটা হয়েছিল কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে’। তখন আমি বললাম আল্হামদুলিল্লাহ, স্যার ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ইতিহাসে আমরা কক্সবাজারবাসীও যুক্ত হলাম। আজকের এই মহতি দিনের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।
অনুষ্ঠানের মঞ্চেই ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এসময় তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় মাদরাসা ও ইসলামী শিক্ষা নিয়ে চিন্তা করেন। তার আন্তরিকতায় ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় অতি দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেছেন, এ দেশে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন কিছু চিন্তা করার কোন সুযোগ নেই। দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতার কথা উপলব্ধি করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ইসলাম ছাড়া অন্য কোন চিন্তা করেন নি। আগামী দিনে এই দেশের ক্ষমতা আলেম-ওলামাদের হাতে যাবে এবং নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশ একটি পূর্ণ ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সুন্দর ওই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছিলেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী ও জমিয়াতের সহ-সভাপতি ড. মাওলানা মাহবুবুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভর্তির নোটিশ জারি করার মাধ্যমে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হলো। অন্যান্য কার্যক্রমও এখন চলতে থাকবে। আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এখন থেকে মাদরাসা শিক্ষার অনুমোদন, পাঠদান পদ্ধতি, কারিকুলাম তৈরি ও অনুমোদনসহ সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তিনি মাদরাসা শিক্ষকদের মাদরাসায় পড়াশুনার মান বৃদ্ধির দিকে নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সারাবিশ্বে এখন প্রতিযোগিতা বেড়ে গেছে। এজন্য মাদরাসা শিক্ষার্থীদের গুণগত মানের শিক্ষা দিতে হবে। যাতে তারা কেবল বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও প্রতিযোগিতায় মেধার স্বাক্ষর রাখতে পারে। ইসলামকে শান্তির ধর্ম উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম উগ্রবাদ বা মানুষ হত্যার ধর্ম নয় এবং এগুলোকে সমর্থন করে না। আর আলেম-ওলামাগণ শান্তির ধর্মের পক্ষে, মানব কল্যাণের পক্ষে কাজ করবে এবং পথ দেখাবে। আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবায়নের ইতিহাস স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, যখন প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলেম-ওলামাগণ বৈঠক করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানিয়েছিলো, তখন বলা হয়েছিলো ৯৩ বছরের দাবি। আর এখন শতবছর পরে এই দীর্ঘ সংগ্রাম বাস্তবায়ন হয়েছে। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময় মাদরাসা ও ইসলামী শিক্ষা নিয়ে চিন্তা করেন। বর্তমান সরকারের সময়ে মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আমরা এক হাজার ৩০০ মাদরাসার ভবন তৈরি করেছি, আগামীতে আরও ২ হাজার স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার ভবন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করা, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, ৩৫টি মডেল মাদরাসা স্থাপনসহ নানা অর্জনের কথা সম্মেলনে তুলে ধরেন তিনি।
শুকরিয়া ও দোয়া মাহফিলে আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতার কথা উপলব্ধি করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলাম ছাড়া অন্য কোন চিন্তা করেননি। এই দেশে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন কিছু চিন্তা করার সুযোগও নেই। কারণ সমাজে খুন-ধর্ষণ যেভাবে বাড়ছে এজন্য একটা দর্শন প্রয়োজন। এই দর্শন হবে ইসলামী দর্শন। এর জন্য আলেমদের সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় যোগ্য, দক্ষ, সৎ ও মেধাবী মানুষ তৈরির মাধ্যমে এই দর্শন বাস্তবায়নে কাজ করবে। যার মাধ্যমে সমাজে একটি রেনেসাঁ তৈরি হবে এবং নেতৃত্ব যাবে আলেম-ওলামা ও ইসলামী জ্ঞানে শিক্ষিত ব্যক্তিদের হাতে। আগামী দিনে এই দেশের ক্ষমতা আলেম-ওলামাদের হাতে যাবে এবং নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশ একটি পূর্ণ ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত হবে। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি বলেন, সমাজের প্রয়োজন উপলব্ধি করে বৈরী পরিবেশের মধ্যে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা একটি বিরাট অর্জন। ইতোমধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা ২০১৯ সালে অনার্স শেষ করে বের হবে। এই বিশাল ইসলামী শক্তি সমাজকে নেতৃত্ব দেবে। শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল সমাজের জন্য আলেম-ওলামাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, মধপ্রাচ্যে শতভাগ মুসলমান থাকার পরও সংঘাত-সংঘর্ষ বেশি হচ্ছে। আর আমাদের এখানে ৯২ ভাগ মুসলমান থাকলেও কোন ধরণের সংঘাত ও সংঘর্ষ নেই। অনেক দল ও মত রয়েছে তবে মাদরাসা শিক্ষার বিষয়ে সকলেই একমত। অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরী মুসলমান অভিবাসীদের গ্রহণ করতে চাচ্ছে না, কারণ তারা মুসলমানদের ভয় পাচ্ছে, উগ্রতা ছড়াতে পারে বলে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষদের নিয়ে উগ্রতার কোন কথা কেউ বলছে না। বাংলাদেশ স্থিতিশীল রয়েছে আলেম-ওলামাদের কারণে। এই অঞ্চলের মানুষ সহনশীল এটা হয়েছে তাদের মাধ্যমেই। আগামী দিনে সুনিশ্চিতভাবে এই আলেমদের হাতেই ক্ষমতা আসবে। আর এই নেতৃত্ব যেনো সুশিক্ষিত ও সঠিক ব্যক্তির হাতে যায় এজন্য ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিশ্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় আগামী দিনে মডেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সরকার বা রাজনৈতিক ক্ষমতা পরিবর্তন হলে ব্যানার পরিবর্তন হবে। কিন্তু কাজের মাধ্যমে মানুষের মনে স্থান করে নিতে পারলে সারাজীবন থেকে যায়। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতষ্ঠার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দেশের আলেম-ওলামাদের মনে স্থান করে নিয়েছেন।
বিশিষ্ট শিল্পপতি সালমান এফ রহমান ইসলামী শিক্ষাকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সকল ক্ষেত্রে পাশে থাকার এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য বজলুল হক হারুন বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বলা হতো ইসলাম ধ্বংস হবে, ইসলাম থাকবে না। কিন্তু তিনি প্রমাণ করেছেন শেখ হাসিনার সরকারের মাধ্যমেই ইসলামের কাজ হবে। শেখ হাসিনার চিন্তায় সব সময় ইসলামই থাকে। ইসলামের বিকল্প কোন কিছু তার কাছে নাই। তিনি বলেন, আলিয়া মাদরাসায় জঙ্গি সৃষ্টি করা হয় না। যারা জঙ্গি সৃষ্টি করছে তারা ইতোমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। আলিয়া মাদরাসা থেকে এমন মানুষ বের হচ্ছে যারা আগামী দিনে এই দেশকে নেতৃত্ব প্রদান করবে।
ধানমন্ডিতে কার্যালয় স্থাপন করে এখন ইসলামী আরবী বিশ্বদ্যিালয়ের কার্যক্রম চলছে। প্রধানমন্ত্রীর ডিজাইয়ার অনুসারে এর জন্য ৩০ একর জমি নেয়া হচ্ছে। ইসলামের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই দৃঢ অবস্থান অবশ্যই বলতে হবে এটি বাংলাদেশে ইসলামের বিজয়ের ইঙ্গিত। ১০.০৯.২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ।
## লেখক: কক্সবাজার ব্যুরোচীফ দৈনিক ইনকিলাব, প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক দৈনিক হিমছড়ি। পরিচালক আল কুরআন সোসাইটি কক্সবাজার। মোবাইল: ০১৮১৯-১৭০১৯০


শেয়ার করুন