ইথিওপিয়ার ওরোমিয়া অঞ্চলে ধর্মীয় এক উৎসব চলার সময় বিক্ষোভের ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছেন আরো বহু মানুষ।
রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে মাত্র ২৫ মাইল দূরে বিশোফটু এলাকায় ধর্মীয় একটি উৎসবকে কেন্দ্র করে সমবেত হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবারের উৎসবে জড়ো হওয়া হাজার হাজার মানুষ ‘স্বাধীনতা চাই’ এবং ‘ন্যায় বিচার চাই’ বলে শ্লোগান দিতে থাকে।
বিক্ষোভকারী জনতাকে দমনে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোঁড়ে। সেইসাথে লাঠিপেটা করে তাদের হটানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এসময় পায়ের চাপায় পিষ্ট হয়ে অনেকে প্রাণ হারায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে জানা যায়।
এছাড়া বিক্ষোভের সময়কার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বহু মানুষের এক সমাগম ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রী হেইলে মারিয়াম ডেসালেন দাবি করেছেন, দাঙ্গা সৃষ্টিকারীরা পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে তিনি সাধারণ মানুষকে রক্ষার ‘মহৎ চেষ্টার জন্য’ নিরাপত্তা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রাণহানির জন্য অশুভ শক্তিকে দোষারোপ করেন।
এ ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতিও দেন প্রধানমন্ত্রী।
কোনো কোনো খবরে বলা হয়, সরকার বিরোধীরা পাথর ও বোতল ছুঁড়ে মারে। তবে অন্যান্য অনেক মাধ্যমে বলা হয় শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব চলছিল।
অরোমোর একজন বিরোধী কর্মীর বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে অন্তত ৩০০ মানুষ নিহত হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যকে কেন্দ্র করে অরোমিয়া এবং আমহারা প্রদেশে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।
সূত্র: বিবিসি