ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা ‘বিচ্ছিন্ন’ ঘটনা

2016_06_13_12_11_32_CyDwoN4Dct6IiHyqtVAmhAd1gyKoaF_originalসিটিএন ডেস্ক:
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১ম থেকে ৬ষ্ঠ পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে অসহিষ্ণুতা ও একই দলে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার কারণে কোথাও কোথাও ‘বিচ্ছিন্ন’ কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (১৩ জুন) সকালে দশম জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ কার্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘৪ হাজার ১০৪টি ইউনিয়নে অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণভাবে ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রতিটি উপজেলায় নির্বাচনী শিডিউল ঘোষণার পর হতেই ১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করেন।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রতিটি উপজেলায় ভোটগ্রহণের আগের ২ দিন ও ভোটগ্রহণের দিন এবং ভোটগ্রহণের পরের দিন অর্থাৎ মোট ৪ দিন আরও অতিরিক্ত ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিসিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও আচরণবিধি প্রতিপালনের লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।’

এ ছাড়া প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ২০ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২১ জন সশস্ত্র ও লাঠিধারী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ৩য় ধাপের নির্বাচনের পূর্বে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে ২য় দফায় আরও একটি সভা করে তাদের অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও কমিশন সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছেন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও আইনমন্ত্রী জানান।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে যাতে মহিলা ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এবং নির্বাচনে পরবর্তী সময়ে তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ নজর রাখেন, সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে।


শেয়ার করুন