ইউনিয়ন পরিষদেও জামায়াতের একক নির্বাচনের প্রস্তুতি

jamat-logoসিটিএন ডেস্ক:
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও এককভাবে প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত। বিদায়ী বছরের পৌরসভা নির্বাচনের ধারাবাহিকতা ইউনিয়ন পরিষদেও বজায় রাখতে চায় তারা। এজন্য তফসিল ঘোষণার আগেই দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী সমর্থকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে মোতাবেক নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ করছে পাড়া মহল্লা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। জামায়াতের জেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীলরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা বলেন, ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে সমঝোতা হতে হবে এমন কোন নির্দেশনা নেই। তবে সমঝোতা হলে ভাল, না হলে নিজস্ব কর্মকৌশল দিয়ে নির্বাচন করার ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে জামায়াতের। প্রথমবারের মতো স্থানীয় সরকার পরিষদের সর্বনিম্ন পর্যায়ের এই নির্বাচন দলীয়ভাবে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্যদলের প্রার্থীরা। কিন্তু উচ্চ আদালতে নিবন্ধন বাতিলের আপিল নিষ্পত্তি না হওয়ায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পারছে না জামায়াত।
এ ব্যাপারে ফেনী জেলা জামায়াতের আমীর শামসুদ্দিন বলেন, পৌর নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র ছিলেন, ইউনয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমরা নির্বাচন করবো। তিনি বলেন, নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের আছে। কেন্দ্রের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনে এ জেলায় আমাদের কোন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেনি। প্রশাসন এবং দলীয় লোকজনের প্রভাবে প্রার্থী নির্বাচনী মাঠেই আসতে পারেনি। ইউনিয়ন পর্যায়ে এমন কিছু হলে তা সরকারের জন্য ভাল হবেনা।
চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের অর্থ সম্পাদক সাকিল আহমদ বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের এই নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের আছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা যার যার অবস্থান থেকে নির্বাচনী কৌশল নিচ্ছেন। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে দলীয় কৌশল এখন পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। নানা কারণে দায়িত্বশীলদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব না হওয়ায় এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
খুলনা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মফিজুর রহমান বলেন, ইউনিয়র পরিষদ নির্বাচনের বিষয়টি মনিটরিং করছে দলের জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। প্রার্থী মনোয়ন নির্বাচনের কৌশল নির্ধারণসহ সব ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার তাদের। এক্ষেত্রে মহানগর নেতৃবৃন্দের তেমন কোন ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই। তাই মাঠ লেভেলের এই নির্বাচনে করণীয় মাঠ কর্মীরাই ঠিক করছেন।
এদিকে ঢাকা মহানগর জামায়াতের দায়িত্বশীল একটি সূত্রের দাবি গত ইউনয়ন পরিষদ নির্বাচনের পরই জামায়াত মাঠপর্যায়ে চেয়ারম্যান এবং মেম্বার প্রার্থীদের একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছে। তালিকাভুক্ত মাঠকর্মীরাই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে একাধিক প্রার্থী রাখা হয়েছে। হামলা-মামলাসহ রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক কারণে কোন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ না পেলে বিকল্প প্রার্থী দাঁড়াবে।
তবে রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর, সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, সাতক্ষীরাসহ যে সব জেলায় জামায়াতের অবস্থান ভালো ওই জেলার প্রতি তাদের নজর বেশি। এই সব জেলার বেশির ভাগ ইউনিয়নে প্রার্থী নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি অনেক আগেই নেয়া হয়েছে বলে সূত্র জানায়।-মানবজামিন।


শেয়ার করুন