বাংলামেইল:
সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ২০১৪-১৫ পঞ্জিকা বছরে আয়ের থেকে ব্যয় বেশি। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দাখিল করা দলটির আয়-ব্যয়ের হিসাব থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার দুপুরে জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাদের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন।
এ সময় দলটির যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরু, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন ও যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক আবুল হাসান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
ইসিতে জমা দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ১ জুলাই ২০১৪ থেকে ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত বিভিন্ন খাত থেকে দলটি আয় করেছে ৯৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। বাড়তি টাকার ব্যয় যোগান দিয়েছে ২০১৩-২০১৪ পঞ্জিকা বছরের ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ থেকে। ওই বছর ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ছিল ৫৬ লাখ ২২ হাজার ৮৩১ টাকা।
এদিকে দলটি কর্মী ও নেতাদের চাঁদা থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে। এখাতে আয় দেখানো হয়েছে ৪১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। এছাড়া অনুদান ২২ লাখ ২৬ হাজার, প্রকাশনা থেকে ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৮৩ টাকা ও দলীয় ফরম বিক্রিসহ অনান্য খাত থেকেও আয় দেখিয়েছে জাতীয় পার্টির।
এছাড়া প্রচারণা, পেন্টিং, সভা-সেমিনার, কর্মিসভা, অফিস, ইউটিলিটি বিল প্রভৃতি খাতে ব্যয় দেখিয়েছে দলটি।
আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনের বিগত পঞ্জিকা বছরের হিসাব দাখিল করতে হয়। কোনো দল পরপর তিনবছর হিসাব জমা না দিলে সে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান আছে।
সে মোতাবেক গত ১৭ জুন দেশের ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে গত পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয়া জন্য নির্দেশ দিয়েছিলো ইসি। নির্দেশনায় দলগুলোকে অডিট ফার্ম দ্বারা দুটি ছকে মোট ২০ ধরনের তথ্য দিতে বলা হয়েছিলো।
ইসির নির্দেশনার পর জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, গণফ্রন্টসহ, খেলাফত মজলিস, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন এক মাস এবং বিএনপি দেড় মাস সময় চেয়ে ইসিতে আবেদন করে।
রাজনৈতিকদলগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়ার সময় বাড়ানো হবে কি না এ বিষয়ে ইসি থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।