‘আসুন দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি’

joy3মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাইকে দেশ গড়ার উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

শুক্রবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ‘জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে সুচিন্তা বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, দেশের উ্ন্নয়নের স্বার্থে আমারা তাদেরই দূরে রাখব; যারা রাজাকার, আলবাদর, আলশাসম ও যুদ্ধাপরাধী। তাদের আমাদের দরকার নেই। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষশক্তি সবসময় দেশ অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সুতরাং যারা যুদ্ধাপারাধীদের ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্রীয় পতাকা দেন, জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন, তাদের আমি চাই না।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে রাজনীতির নামে সন্ত্রাস, হত্যা, অগ্নিসংযোগ করে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছিল। আজ দেশ উন্নয়নের দিকে যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন তারা বিভিন্নভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তারা গণতান্ত্রিক রাজনীতির নামে দেশে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তারা আদৌ বিশ্বাসী নয়। তারা বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তান বানাতে চায়। কিন্তু বাঙালি জাতি তাদের এই অপরাজনীতি কোনোদিনই গ্রহণ করবে না।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, নানা চাপ ও প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিজয় হয়েছে। বাংলাদেশের মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে সরকার সক্ষম হয়েছে। বাকি যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার হবে।

যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে আমাদের কোনো কথা থাকতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা রাজনৈতিক বিবেদ সৃষ্টি করে যুদ্ধাপরাধীর বাঁচাতে চায় তারা স্বাধীনতার মূল্য কীভাবে বোঝবে। জাতীয় সংগীতের মূল্য যারা বোঝে না তারা কীভাবে দেশের ভালো চাইবে।

জঙ্গিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য গড়ে বিএনপি জামায়াতসহ প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ার মাধ্যমে দেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জয় বলেন, যারা আজকে রাজনীতির নামে যড়যন্ত্র করছে, দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে তারা মহান মুক্তিসংগ্রামের বিরোধিতা করেছিল; তারা স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানো। কিন্তু এদেশকে কোনোদিন তারা জঙ্গিবাদ রাষ্ট্র বানাতে পারেবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে দেশ হবে একটি গণতান্ত্রিক দেশ-অসাম্প্রদায়িক দেশ- সর্বপ্রকারের বৈষম্যহীন দেশ।

‘জয় বাংলা’ কোনো রাজনৈতিক স্লোগান নয়, এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্লোগান উল্লেখ করে জয় বলেন, বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতার মূল্য বোঝে না। তাই সব সময় যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়েছেন। যদি বিএনপি-জামায়াত আর কিছুদিন ক্ষমতায় থাকতো তাহলে হয়তো দেশের জাতীয় সংগীত উর্দূ হয়ে যেতো। তারা না বোঝে জাতীয় সংগীতের মূল্য আর না বোঝে জাতীয় পতাকার মূল্য।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতার শক্তি ক্ষমতায় না থাকলে বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় না থাকলে দেশে যে কী হতো তা কল্পনাই করা যায় না। আজ সারা বিশ্বে জঙ্গিবাদ যেভাবে ছড়িয়েছে, ‍মুক্তিযুদ্ধের সরকার ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদ দমন করা যেত না।

বিএনপি-জামায়াতের ‘ষড়যন্ত্রের’ তথ্য তুলে ধরে জয় বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টায় বিএনপি দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র করছে। বিচার বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক লবিংও করছে। কিন্তু স্বাধীনতার পক্ষের সরকার থেমে থাকেনি। কীভাবে থামবে? দুজনের বিচার হবে আর চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হবে বিষয়টা এমন নয়।


শেয়ার করুন