আরএসও বাংলাদেশের জন্য সমস্যা তৈরি করবে

images55সিটিএন ডেস্ক:
বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গা সলিডিটারি অর্গানাইজেশন (আরএসও) সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে গোয়েন্দারা। আরাকান আর্মি সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করলেও সেটা পারবে না। তবে আরএসও বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের সঙ্গে মিশে আড়ালে থেকেই কাজ করতে পারে।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, আরাকান আর্মি ও আরএসওÑ দুটিই মিয়ানমারের। তারা সেখানে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। সেটা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে। অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মিয়ানমারের উপর চাপ তৈরি করতে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে আশ্রয় নিচ্ছে। বিজিবির সদস্যরা যেসব এলাকায় তাদের বিওপি রয়েছে সেখানে কড়াকড়ি করছে। তবে পুরো সীমান্তের সব জায়গায় বিজিপির বিওপি নেই। এই কারণে অনেক দুর্গম জায়গাতে তাদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব হয় না। এই সুযোগ নিয়ে ওই দুটি গ্র“প সীমান্তের ওই সব এলাকা ব্যবহার করে মিয়ানমারে তাদের আধিপত্য বিস্তারের ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। সেই হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় অভিযানও পরিচালনা করা হয়।
গোয়েন্দাদের একটি সূত্র জানায়, আরাকান আর্মির কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। এরপরও কিছু কিছু সমস্যা তো হচ্ছেই। বাংলাদেশে তাদের কেউ কেউ বাস করছে সেটাও দেখা গেছে। তাদের কয়েকজনকে ধরাও হয়েছে। আমরা আরও চেষ্টা করছি অন্য কেউ থাকলে তাদেরকেও খুঁজে বের করে আটক করার। তবে মিয়ানমারে তারা অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বাংলাদেশের উপর বেশি চাপ তৈরি করতে না পারলেও আরএসও অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। সেটা নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিও তৈরি হতে পারে।
এ ব্যাপারে বিজিবির ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা মনে করি আরাকান আর্মি ও আরএসও আমাদের জন্য বড় ধরনের কোনো সমস্যা তৈরি করতে পারবে না। মিয়ানমার মনে করে আমরা তাদের আশ্রয় দিচ্ছি। প্রশ্রয় দিচ্ছি। তাদের বিরুদ্ধে কাজ করতে সহায়তা করছি। এই জন্য তারা বার বার অভিযোগও করে আসছে। সেই অভিযোগকে আমরা কখনও প্রশ্রয় দেইনি। মিয়ানমারকে এটাও আশ্বস্ত করা হয়েছে তাদের মিয়ানমারের সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। আমরা দিচ্ছি না।
তিনি বলেন, আমরা যে দেখছি আরএসও আগে যতটা সংগঠিত ছিল ও বল ছিল এখন সেটা অনেক কমে গেছে। তারা আমাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক খারাপ করতে চায়। এই জন্য নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারা বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু সেটা করতে দেওয়া হবে না। আরএসওরা মিয়ানমারে তাদের অবস্থান ও অধিকার তৈরি করতে চায়। এই জন্য তারা বিভিন্ন কাজ করে। মিয়ানমারের অভিযোগ আমরা তাদের আশ্রয় ও প্রশয় দিচ্ছি। কিন্তু আসলে তো সেটা নয়।
তবে কিছুটা আশঙ্কা হলেও সত্য এখানে রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। ওই শরণার্থীদের কেউ কেউ সাধারণ পাবলিকের সঙ্গে মিশে। এতে করে তারা যদি কোনো অঘটন ঘটানোর পরিকল্পনা করে সেটা অনেক সময় ধরা সম্ভব হয় না। তারা যদি কোনো ঘটনা ঘটানোর জন্য সংগঠিত হয় সেটা সমস্যা হতে পারে। কিন্তু নজরদারি রয়েছে। সেটা পারবে না। সেই হিসেবে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হবে না।
বিশেষ একটি সূত্র বলেছে, আরএসওরা আগামী দিনে বাংলাদেশের জন্য সমস্যা হতে পারে। তাই এ ব্যাপারে আরও কঠোর হতে হবে। পদক্ষেপ নিতে হবে। তারা এখানে যাতে আশ্রয় নিতে না পারে, কোনো ধরনের অঘটন ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
গোয়েন্দাদের কাছে থাকা তথ্যগুলো এ ব্যাপারে আরও সমন্বয় করে এরপর প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে পারলেই ভালো হবে।


শেয়ার করুন