আমার খোলা চিঠি

13151903_1099162706820333_3744072839335342217_nপারভেজ আহমেদ বাবু

আজ অনেক মন খারাপ। ছাত্রলীগ আমাদের প্রাণের সংগঠন। কেউ যদি আমাদের এই দলকে অসম্মানি করে মনে হয় নিজেই অসম্মানিত হয়েছি। রনি ভাই ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতা। আমাদের রক্তের ভাইয়ের মত। কষ্ট হয় অনেক বড় নেতাদের রোষানলে পড়ে তাদের কষ্ট পাওয়ায়। আমি এক নগন্য কক্সবাজার জেলা কমিটির সদস্য তাও ইশতিয়াক ভাইয়ের ভালবাসায় কমিটিতে আসা আমার জন্য কোনো সুপারিশ ছিলনা। কিন্তু দীর্ঘ দিনের পরিশ্রম, ত্যাগ এর মূল্যায়ন করল একজন কর্মীবান্ধব নেতা সেই আমার ইশতিয়াক আহমেদ জয় ভাই। ধন্যবাদ আমার শ্রদ্ধেয় নেতা ও প্রিয় ভাই। কিন্তু রাশেদ ভাই আমাদের সাধারণ সম্পাদক তাকেও আমি শ্রদ্ধা ও ভালবাসি। কারণ দুই জনেই আমাদের অভিভাবক।। ধন্যবাদ প্রিয় রাশেদ ভাই। আমি গ্রুপিং রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। আপনাদের ভালবাসা কক্সবাজার ছাত্রলীগের সবার প্রয়োজন আছে। দুই ভাইয়ের প্রেরণা, শক্তি, সততাই পারে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগকে অনেক দূর নিয়ে যেতে। কত কিছু করি কিন্তু ঘুমানোর আগে কষ্ট লাগে কারও মনে কষ্ট দিলে। সরি চাচা আপনাকে কষ্ট দিলাম। আমাকে আপনি বুঝেন না বলে। ছাত্রলীগ করি কারও মনে কষ্ট দিয়ে নেতা হওয়ার জন্য নয়। আমরা জন্মগত মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকি। সেটা আমার দাদা ইছহাক মিয়ার আর্দশ অনুসরণ করে। কিন্তু অনেকেই হয়তো অনেক কিছু মনে করেন। ক্ষমা চাই আমাদের ধমনীতেই মুজিববাদ বহমান। গ্রামের অনেক কিছু কারণে আমাকে ভুল বুঝেন । আসেন পাশে আসেন কথা বলেন, দেখবেন সব কিছু ছাড় দিছি। আমার বড় পোষ্ট-পদবীর তেমন দরকার নাই। তৃণমূলের মানুষ আমাকে অনেক ভালবাসে এটাই আমার পোষ্ট পদবী। এটাই অনেকেই সইতে পারে না। কেন আমি কার ক্ষতি করেছি দেখান; আমি রাজনীতি ছেড়ে দিবো। পরিশেষে সবার ভালবাসা, সম্মিলিত প্রয়াস কামনা করি। আমরা ছাত্রলীগ আমাদের ভুল বোঝাবুঝি রনি ভাই, লিমন ভাইদের মত ত্যাগী নেতাদের অন্ধকার প্রকোষ্টের মত জায়গায় যেতে হয়। বড় নেতাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ আপনারা আলোচনা করে সব ঠিক করে নিবেন। আমি একজন নগন্য জেলার সদস্য। কিন্তু আমরা মৃত্যুকে পরোয়া করি না। বড় ভাইয়েরা নির্দেশ দিলে রনি ভাই হউক, লিমন ভাই হউক ওরা আমাদের প্রাণের সংগঠনের নেতা। তাদের কষ্টে আমাদের রক্তকরণ হয়। বড় নেতাদের কাছে ছোট হিসেবে একটাই অনুরোধ থাকবে আমাদের রাজপথে পাঠিয়ে আপনারা অনেক বড় নেতা। কিন্তু কিছু মনোমালিন্যের কারণে আমাদের বড় ভাইদের কষ্ট মেনে নিতে কষ্ট হয়। মহেশখালীর মধ্যখানে বসবাস করি বলে মনে করিয়েন না আমরা কিছুই বুঝিনা। ভুল ধারণা আপনারা এসি রুমে থেকে মেকানিজম করেন। আর আমরা ছোট খাটো টঙ্গিতে বসেও মুরালি বাজানোতে এসির চেয়ে কম না। তাই পরিশেষে একটাই কথা বলব, প্রিয় লিমন ভাই আপনার কষ্ট বুঝি। চার পাঁচ মাস জেলে ছিলেন কাদের কারণে? আপনার ছোট ভাই রক্তাক্ত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণে করে হাসপাতালে থাকে। বাবলি আপু কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে, আকাশ পানে চেয়ে থাকে নেত্রী একজন কি করবে। সেতো আমাদের মায়ের মত। নেত্রী আছে বলেই আমরা বীরের বেশে মুক্ত বিহঙ্গের মত। এই একজন মুজিব আর্দশ আমাদের কষ্ট গুলো দূর করে দেয়। আর আমরা রাজপথে মৃত্যুকে তুচ্ছ মনে করে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলে প্রকম্পিত করি। কিন্তু রাজনীতির জটিল সমীকরণে নেতাদের ভুলে রনি ভাই নির্যাতিত হয়। চাই না লিমন ভাই, রনি ভাইদের নির্যাতন। ওরা আমাদের বড় ভাইয়ের মত। তাদের কষ্ট গুলো একজন ছাত্রলীগ সদস্য হিসেবে কখনোই মেনে নিতে পারি না। ভালবাসি রনি ভাই, লিমন ভাই। আমাদের সবার শক্তি পারে মহান নেত্রীর সম্মান রক্ষা করতে। আমরা চাই না সংকীর্ন মনোভাব নিয়ে একজন অপর জনের ক্ষতি করতে। আমরা যখন নির্যাতিত হই তখন জামায়াত -বিএনপি পাির্ট দেয় মাস্তি করে। তখন মনের গহীনে কষ্টের সুর এমন ভাবে বাজে মনে হয় রক্তকরণে বুক ফেটে যায়। আমাদের সব ছাত্রলীগকে শপথ নিতে হবে এক ভাই এর বিপথ মানে সবার। কেননা বাংলাদেশের সব ছাত্রলীগ আমাদের হয়তো বড় ভাই, ছোট ভাই। সবার ভালবাসা, ঐক্যব্ধতা, ত্যাগীদের মূল্যায়ন এবং টাকার কাছে জিম্মি না হওয়া আমাদের চাওয়া। আমাদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রদ্ধেয় সাইফুর রহমান সোহাগ, শ্রদ্ধেয় সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন আপনাদের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যব্দ্ধ। আর আমি যখন কক্সবাজার ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য্য। আমি আমার সম্মানিত সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়, সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান রাশেদ ভাইয়ের নেতৃেত্ব অবিচল আছি। ওরা দুজনই আমাদের অভিভাবক তাদের নির্দেশ মানতে আমরা বদ্ধপরিকর। প্রয়োজনে আমাদের রক্তে রঞ্জিত হবে রাজপথ। তবু ছাত্রলীগ পিছনে যাবে না। আমরা ইশতিয়াক ভাই, রাশেদ ভাইকে আমাদের প্রাণের চেয়েও ভালবাসি। অনেকেই মনে করবেন তোষামোদ। আসলে বোকার স্বর্গে বসবাস ছাড়া কিছুই নয়। কিছু মানুষ আছে জন্মগত ভাবেই প্রতিহিংসা পরায়ণ। আপনাদের বলি বড় পোষ্ট পদবীর মালিক হতে পারবেন হয়ত সাময়িক ক্ষমতার ভাব নিবেন। কিন্তু আস্তাকূড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন তখন খুঁজে পাওয়া যাবেনা। তাই সবার সম্মিলিত প্রয়াস হউক ছাত্রলীগের শক্তি। কর্মীকে নিজের ভাইয়ের মত ভালবাসবেন। দেখবেন ছোট ভাই গুলো কি পরিমাণ আপনাকে ভালবাসবে। সত্যি এই ভালবাসা কোটি টাকা দিয়েও কেনা যায় না। আমরা বড় পোষ্ট পদবী চাই না। আমরা এই বড় ভাই গুলোর স্নেহ, ছোট ভাই গুলোর ভালবাসা চাই। জয় হউক প্রাণের সংগঠন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংগ্রামের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কক্সবাজার জেলা শাখার পক্ষ থেকে সব ভাইদের প্রতি আকুল আবেদন আমরা চাই না রনি ভাইদের কষ্ট, লিমন ভাইদের কষ্ট। এই দুই ভাই চট্রগ্রামে একসাথে রাজপথে নামলে হাজার হাজার ছাত্রলীগের র্কর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হবে রাজপথ। আমার আকুল আবেদন ছাত্রলীগ নিয়ে বিভক্তি সৃষ্টি না করে সবার ঐক্যবদ্ধতা কামনা করি। আমরা কারও লালসার শিকার হতে চাই না। কল্পনা কর রনি ভাইয়ের মায়ের কান্না, বোনের অশ্রুশিক্ত নয়ন, বাবার নিঃশব্ধ কান্না। একটু দেখ, রনি ভাইয়ের মত নেতার কলার ধরা নিধারুণ কষ্টে বুকটা ফেটে যায়। ঠিক তেমনি আমার পরিচিত লিমন ভাই কি ভদ্র, নম্র, কর্মীবান্ধব; যার নেতৃত্ব চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সবুজ চত্বর, ভেটনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় আরও অনেক। কিন্তু নেতাদের রোষানলে পড়ে থাকে রাতের অন্ধকারে কার স্বার্থ অন্ধকার প্রকোষ্টে নিক্ষেপ করেছিল। সব বুঝি আমরা চাই বড়রা আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। আপনাদের দেখানো পথেই আমরা হেটে যাবো দুর্ঘম পথ। কিন্তু আপনাদের মনোমালিন্য আমাদের ভাইদের মধ্যে বিভক্তির রেখা একে দেয়। পরিশেষে মৃত্যু হয় আমাদের ভাইদের, ভাই এর রক্তাত্ব দেহ কোটি বার মন্ত্রি হলেও ফেরত পাওয়া যাবে না। পাবো না তাহলে কেন এই বিভক্তির রেখা আমার প্রশ্ন রইল হে মন্ত্রিসাহেব, এমপি সাহেব, মেয়র সাহেব। আপনারা হর্তার্কতা আমরা জানি, আপনাদের সম্মান করি। কিন্তু এই বিভক্তির বলি যেন ছাত্রলীগ না হয়, আপনারা যখন বিমানে বা এসি রুমে তখন আমরা ছাত্রলীগ রাজপথে রোদে পুড়ে মমতাময়ী মা শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড় হিসেবে মুজিবের বাংলা রক্ষা করে। তাই ছাত্রলীগেরর বড় ভাইদের কাছে আকুল আবেদন আমাদের কোন অন্যায় হলে শাস্তি দিবেন, প্রয়োজনে বহিস্কার করুণ আমরা মাথাপেতে নেব। কিন্তু লিমন ভাই, রনি ভাইদের একসাথে রাজপথে থাকার ব্যবস্থা করবেন। তাহলেই অপশক্তি বিনাসে সহজ হবে। না হয় আজ লিমন ভাই, রনি ভাই, কাল আমরা কেও রেহায় পাবো না।তাই বলতে চাই সম্মিলিত প্রয়াস,আন্তরিকতা, ভালবাসা আর ছাড় দেওয়ার মনোভাব আমাদের শপথ হওয়া দরকার। নেতৃত্ব দিতে গেলে ছাড় দেওয়ার মনোভাব থাকতে হবে,অহংকারী মনোভাব সংগঠনের ক্ষতিকর কারণ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী হওয়া গৌরবের, আর নেতা হওয়া সম্মানের। সেই সম্মান নিয়ে এতো নাড়াছাড়া কেন? আমাদের কি দোষ না খেয়ে মিছিলে মুজিব আর্দশের স্লোগানে মূখরিত করা, হরতালে জীবন বাজী রেখে রাজপথে থাকা,চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবির মুক্ত করা,মুহসীন কলেজ,চট্রগ্রাম কলেজ শিবির মুক্ত করা,কক্সবাজারের মত জামাত বিএনপি অধ্যুষিত এলাকায় ছাত্রলীগের জন্য কাজ করা ইশতিয়াক ভাই,রাশেদ ভাইয়ের অকুতোভয় নেতৃত্বে।কক্সবাজারে ভাইদের নেতৃত্বে আজ হাজার ও ছাত্রলীগের গণজাগরণ।এগুলো কি ছাত্রলীগের অপরাধ।তাহলে রাজী হাজার বার অন্ধকার প্রকোষ্টে যেতে।ছাত্রলীগ নিজস্ব গতিতেই চলতে পারে,কারও অন্যায় ছাত্রলীগ সহজেই মেনে নেয় না।দেখেন ছাত্রলীগ থেকে যারা মন্ত্রি হয়েছেন তারা সফল।ছাত্রলীগ রাজনীতির পাঠশালা,ছাত্রলীগ না করলে কসম করে বলছি রাজনীতি কি সেটা বুঝাও অনেক কষ্ট হয়ে যাবে।হয়ত উড়ে এসে টাকার জোরে অনেক বড় নেতা হবেন কিন্তু ক্ষনিকের তৃপ্তি পাবেন এর পর হারিয়ে যাবেন অতল গহরে খুজে পাওয়াও দুষ্কর হয়ে যাবে।ছাত্রলীগের বিকল্প ছাত্রলীগ। এই ছাড়া কোন উপায় নাই।তাই তো বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ছাত্রলীগের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস।বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্রলীগের ইতিহাস।ছাত্রলীগ মানবতার গান গায়,শিক্ষা,শান্তি,প্রগতি ছাত্রলীগের মূল নীতি।আমরা মুজিবের এই বাংলাদেশকে অনেক ভালবাসি,মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমাদের বাঙ্গালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা, বাঙ্গালী জাতির পিতা যার রক্তাক্ত এই বুক বাংলাদেশের মানচিত্র সেই মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে।ছাত্রলীগ আর্দশে অবিচল আছে,কিন্তু অতি উৎসাহি, টাকার বিনিময়ে জামাত,বিএনপির লোক আর কিছু জন্মগত দোষে দূষিত ব্যাক্তির কারণে মাঝে মধ্যে আমাদের ভাইদের রক্ত ঝড়ে অবিরত।দুইটি উদাহরণ দিই আমার নিজের ভাইকে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের সংগঠন ছাত্রলীগের কিছু কতিপয় ছাত্রলীগ (নেতা)বা ক্র্মী ছুরিমেরে ছিল পিঠের মাঝখানে,সাথে আঘাত বেশী পেয়েছিল শেখ কামাল নামের একজন ছাত্রলীগের ক্র্মী বাড়ী কক্সবাজার,তখন নিধারুণ ব্যথায় ব্যতিত হয়ে ছিলাম এই দুই ভাইকে দেখে, কিন্তু তাদের মনোবল ছিল পাহাড় সমান, তারা করত সম্মানিত সভাপতি বড় ভাই আলমগীর টিপু ভাই,আমার অত্যান্ত কাছের বন্ধু চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতৃবিন্দের মধ্যে বন্ধু রনি,,মনছুর,জমির, জাহেদ,হাসিব,পরস,সহিত আরও অনেকের নেতৃত্বে।আমার সাথে তাদের আত্তার সম্প্র্ক।হাসপাতালে দুজনকে দেখতে গিয়ে দেখা হয় লিমন ভাইয়ের সাথে তখনই বুঝতে পারলাম কেন ছাত্রলীগের এতো ক্র্মী থাকে ভালবাসে, ভাই বেচে থাকবেন অসংখ্য ছাত্রলীগের মাঝে,,ভাগ্য হয়নাই ব্যক্তিগত ভাবে রনি ভাইয়ের সাথে মিশার,কিন্তু সামাজিক কাজে ছাত্রলীগের জন্য অনেক কাজ করে রনি ভাই,সাহসী পদক্ষেপ নিতে পিছপা হয় না।শিবিরের মূর্তিমান আতঙ্কের নাম চট্রগ্রাম মহানগরীতে রনি ভাই,লিমন ভাই।আর অসংখ্য নেতার অবদান এই চট্রলায় থাকলেও আমি ছাত্রলীগ হিসেবে দুই জন জনপ্রিয় ছাত্রনেতার কথা উল্লেখ করার কারণ তাদের প্রতি অমানবিক আচরণের কারণে প্রত্যক ছাত্রলীগের মনে রক্তকরন হওয়ায়।কেও লিমন ভাইকে ভালবাসে,কেও রনি ভাইকে ভালবাসে।পরিশেষে বুঝে নিতে পারি সকল ছাত্রলীগ কষ্ট পেল।নেতাদের আখের গোছাতে সুবিধা হল।ছাত্রলীগের সম্মান কমাতে চেষ্টা করা হল।কেন আপনারা যারা আমাদের অভিভাবক তারা যদি ক্ষমতা ভাগাভাগি করে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন আমাদের ভাইদের রক্তে রাজপথ রন্জিত হবেনা,যেমন কিছুদিন আগে ছাত্রলীগের সোহেল হত্যা,, ছোট ভাই আরফাত পঙ্গু হাসপাতালে কাটানো,হলের দুই তলায় ছাত্রলীগ ক্র্মীর নিথর দেহ খানি।কষ্ট হয় ভাবলে এই ধারা, উপধারা নিপাত যাক,সব নেতা এক টেবিলে বসে সিদ্ধান্ত নিবেন আশা করি,সকল অন্ধকার দূর করে সকল ছাত্রলীগের নেতা ও র্কর্মীদের উজ্জীবিত শক্তিই পারে নতুন দিনের সূচনা করতে। আর একটা কথা বলি আমাদের প্রাণপ্রিয় ভাইয়েরা বিভক্তির কথা বাদ দিয়ে মনমানসিকতা সুন্দর করে ছাত্রলীগের গৌরব ফিরিয়ে আনতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।সবাই একই পরিবারের সদস্য।এক ভাইকে আঘাত করলে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ কাম্য।ছাত্রলীগ এক হলে কোন অপশক্তি আমাদের থামিয়ে রাখতে পারবে না।অপশক্তি বিনাসে চালায় অভিযান।সকল ছাত্রলীগের বড় ভাইদের সম্মান,ছোট ভাইদের স্নেহ করি,আর বিভক্তির রাজনীতি পরিহার করে সবার সম্মিলিত ঐক্যবদ্ধতাই পারে হাজার হাজার ছাত্রলীগের মনোবল ফিরিয়ে আনতে।না হয় লিমন ভাই ছয় মাস বা তার বেশী,রনি ভাইকে দুই বছরের সাজা,আরজুকে পৃথিবী থেকে বিদায় করে দেওয়া,আমাদের অভিভাবক ইশতিয়াক ভাইকে নৌকার পক্ষে কাজ করার অপরাধে অপমান করার বৃথা চেষ্টা,কিছু করতে না পেরে আমাদের জেলা ছাত্রলীগের চার ভাইকে অন্ধকার প্রকোষ্টে রাখা,টিক তেমনি কোন মামলা না থাকা সত্তেও দুই মাস আগে রাতের দুইটায় আমাকে ঘুম থেকে ডেকে ৪০জন পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে সাথে আমার সহজ সরল পিতাকে সহ। কি দোষ ছিল আমার।হা জানি জামাত-বিএনপির বেইল নাই,কিন্তু দলের ভেতর কিছু লোভী,প্রতিহিংসা পরায়ণ মানুষ থাকে।থাক ক্ষমা করে দিলাম।আমার বিপথে সারা রাত না ঘুমিয়ে আমার ১৪ ঘন্টা কারা জীবনে পাশে ছিলেন আমার রাজনৈতিক অভিভাবক ইসতিয়াক আহমেদ জয় ভাই।ধন্যবাদ প্রিয় ভাই ও নেতা।আর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা,ও ব্র্তমান ছাত্রনেতা যারা পাশে ছিলেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।শেষে শুধু বলতে চাই বিভক্তি চাই না,নেতাদের সুবিধার পণ্য হতে চাই না,আর্দশের পথে অবিচল থেকে আলোচনার মাধ্যমে সব ভেদাভেদ দূর হউক।ভাইদের নির্যাতনের ছবি দেখতে চাই না।একজন ভূল করলে শুধরে দেওয়াই মহত্বের লক্ষণ।পরিশেষে বলতে চাই সামান্য ক্ষমতা পাওয়ার জন্য,নিজ দলের ক্ষতি করা,নিজ দলের মানুষের ক্ষতি করে লাভ কি?হাইব্রিড় ও প্রতিহিংসা নিপাত যাক এই আমাদের কামনা।সকল ছাত্রলীগ ঐক্যবদ্ধ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক ও অভিন্ন ভাবে কাজ করবে।চাই না গ্রুপিং রাজনীতির লালসার স্বীকার হয়ে কোন ভাইকে হারাতে,,সবাই এক পরিবারের সদস্য হয়ে থাকতে। সুন্দর নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবে এই আমাদের আশা ও কামনা। (কোন ভুল করলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন)।

পারভেজ আহমেদ বাবু
কার্যনির্বাহী সদস্য
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কক্সবাজার জেলা শাখা।


শেয়ার করুন