শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী

আমরা পিছিয়ে থাকবো না, মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো

145436_107021প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কোনো দিক থেকে আর পিছিয়ে থাকবো না। আমাদেরকে আর কেউ পিছিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াবোই।

আজ শনিবার সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার ৪৬তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে এই কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের সময় আমরা সবসময় বৈষম্যের স্বীকার হয়েছি। এদেশের মানুষের শিক্ষার সুযোগ ছিল না, তারা চিকিৎসা পেত না, তাদের খাবার ছিল না, আশ্রয় ছিল না। আমাদের অর্থ-সম্পদ লুট করে নিয়ে যেত পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী। এমনকি আমাদের মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলারও অধিকার তারা কেড়ে নিতে চেয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালির ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরসহ শিশু-কিশোর-নারী-বৃদ্ধ, কাউকেই রেহাই দেয়নি তারা। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এর পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আহ্বানে মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। জাতির পিতা বাঙালির মনে স্বাধীনতার চেতনার জন্ম দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা জানান, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। আর ২০৪০ সালের মধ্যে আমরা হবো উন্নত দেশ।

শিশুদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বিশ্বের দরবারে দেশকে আরও উচ্চ আসনে নিয়ে যেতে হবে। সেইভাবে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। মানুষের মতো মানুষ হতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৫ বছর আজ। আজকের এই দিনে আমি শ্রদ্ধা জানাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি, শ্রদ্ধা জানাই জাতীয় চার নেতার প্রতি, শ্রদ্ধা জানাই ৩০ লাখ শহীদদের প্রতি, শ্রদ্ধা জানাই দুই লাখ মা-বোনকে, যাদের অবদানে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, আর যেন কেউ আমাদের অবহেলা করতে না পারে। আমরা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলব। সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে অবদান রেখে দেশের অগ্রযাত্রায় অবদান রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।


শেয়ার করুন