এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ,

আন্দোলনের হুমকি মানবতার নামে বেকার জনগোষ্ঠিকে নিয়ে অমানবিকতা

সিটিএন ডেস্ক :
উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বিভিন্ন ধরনের মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে জাতিসংঘ সহ একাধিক এনজিও/আইএনজিও। এসব সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে উখিয়া ও টেকনাফে ক্ষতিগ্রস্থ বেকার জনগোষ্ঠিকে চাকুরী দেওয়ার নামে চরম প্রতারনা ও প্রহসনের অভিযোগ উঠেছে। এসব এনজিও, আইএনজিওর বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ও বিস্তর। এসব কারনে উখিয়া ও টেকনাফের শত শত বেকার যুবক যুবতী ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এতে সচেতন অভিভাবক মহল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অগ্রাধিকারের দাবিতে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে।
গত সপ্তাহে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত একাধিক এনজিও/আইএনজিও বিভিন্ন পদে জন বল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এসব বিজ্ঞপ্তির অধিকাংশ আবার গণ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি। নিজেদের অভ্যন্তরিন ভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে স্বজনপ্রীতি, দুর্ণীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয় বলে জানা গেছে। গত সপ্তাহে এধরনের একটি আইএনজিওর একাধিক পদে স্থানীয় আগ্রহী শত শত শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতী চাকুরীর আশায় জীবন বৃত্তান্ত সহ আবেদন করেন। কিন্তু গতকাল উখিয়ার একাধিক পান দোকানে এসব চাকুরী প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্তের অসংখ্য কপি ছেড়া পান ও অন্যান্য পণ্য বেধে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এধরনের ঘটনায় উখিয়া ও টেকনাফের অসংখ্য বেকার যুবক-যুবতী ও তাদের অভিভাবক সহ সচেতন লোকজনের মধ্যে চরম হতাশা, অসন্তেুাষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন এনজিওতে পরিশ্রম অনুযায়ী নিয়োজিত পারিশ্রমিক না দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
উক্ত আইএনজিওর হেল্থ এডুকেটর সহ বিভিন্ন পদে চাকুরী প্রার্থী উখিয়ার অর্ধশতাধিক যুবক ও যুবতী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এসব এনজিও/আইএনজিওগুলোর রোহিঙ্গা কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্থ উখিয়া ও টেকনাফে জন সাধারন এবং বেকার জনগোষ্ঠিকে নিয়ে রীতিমত প্রহসন ও প্রতারনা করে যাচ্ছে। ইতিপূর্বেও উক্ত আইএনজিওর বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও স্থানীয় বেকার জনগোষ্ঠিকে চাকুরী না দিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের চাকুরী দিয়েছে। যা বাংলাদেশ এনজিও ব্যুরোর সাথে করা অঙ্গিকার নামার বিপরীত। এনজিওগুলোর নির্দেশনা অনুযায়ী উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থান নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদের বিভিন্ন সেবায় নিয়োজিত জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থাগুলোর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রোহিঙ্গা কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্থ উখিয়া ও টেকনাফে বেকার জনগোষ্ঠিকে এবং রোহিঙ্গা ভাষা সহ স্থানীয় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় দক্ষ লোকজনদের এসব চাকুরীতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগের শর্ত রয়েছে।
কিন্তু রোহিঙ্গা শরনার্থী সেবায় নিয়োজিত সংস্থাগুলো এসবের সিকিভাগ ও পুরন না করে তাদের সেখানে কর্মরত বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলার লোকজনদের আত্মীয় স্বজন, শালী, শালা সহ নিকট আত্মীয়দের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ খাতে দেশের অন্যান্য জনপথের চেয়ে পিছিয়ে থাকা অনগ্রসর উখিয়া ও টেকনাফের লোকজনের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভের প্রেক্ষিতে পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক নুর মোহাম্মদ সিকদার, উখিয়া কলেজের প্রভাষক তহিদুল আলম তহিদ, উখিয়া নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের মহা সচিব সাংবাদিক গফুর মিয়া চৌধুরী সহ সচেতন মহল বলেন, জাতীয় অগ্রগতির সব দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে উখিয়া ও টেকনাফ। যুগ যুগ ধরে লক্ষ লক্ষ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু এখানকার মানুষদের উপর ভর করে আছে। তাদের কারনে মাদক, অস্ত্র, মানব পাচার সহ সার্বিক সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত দুরাবস্থা চলছে এখানে।


শেয়ার করুন