আন্তর্জাতিক জালিয়াতচক্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে

014_103980-400x266সিটিএন ডেস্ক:

আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জালিয়াত চক্রের অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্যই এখন গোয়েন্দাদের হাতে। ব্লাকশিপ মার্কেটের বেশকিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এটা আসলে হাইলি টেকনলজিক্যাল বিষয়, অনলাইন ও ইন্টারনেটের বিষয়। চক্রের সদস্যরা ওইখান থেকেই তথ্য সংগ্রহ করে জালিয়াতি করেন।’

মঙ্গলবার এসব তথ্য এটিএমবুথ জাতিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার বিদেশি নাগরিক পিওতর সেজেফান মাজুরেকের মাধ্যমে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

এছাড়াও ব্যাংকের এটিএম জালিয়াতিতে ৪০ থেকে ৫০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জড়িত থাকার তথ্য গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন বিদেশি এই নাগরিক।

মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এবং কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান জালিয়াতিতে জড়িত, নাকি উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের নাম এতে জড়ানো হয়েছে, তা যাচাই করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ৩/৪ জনকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যাংক কর্মকর্তারা সীমিত তালিকা দিয়েছে। অধিকাংশই দিয়েছে পিওতর।

মনিরুল ইসলাম বলেন, তারা যাদের নাম বলেছেন তার মধ্যে ব্যাংক কর্মকর্তা, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী, মার্চেন্ট, অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও নামধারী ব্যবসায়ী রয়েছেন। গানবাজনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিও ওই তালিকায় আছেন। তবে শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে তাদের গ্রেফতার করা হবে না।

সম্প্রতি ঢাকার গুলশান, বনানী ও মিরপুরের কালশীতে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সিটি ব্যাংক লিমিটেড ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) চারটি এটিএম বুথে ‘স্কিমিং ডিভাইস’ বসিয়ে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির পর কার্ড ক্লোন করে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় হয়।

এরপর ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) ও সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মামলা করলে তার তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ইউসিবিএলের করা মামলার এজাহারের সঙ্গে এটিএম বুথের সিসি ক্যামেরায় পাওয়া এক বিদেশির ছবিও দেওয়া হয়েছিল। এর ভিত্তিতে ২২ ফেব্রুয়ারি পিওতর ও সিটি ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


শেয়ার করুন