ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘২০ দলীয় জোটের সন্ত্রাসীরা রাতের আঁধারে নাশকতা চালাচ্ছে। এ কারণে সন্ত্রাসীদের ধরতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ধরা যেতে পারে এটা তাদের ব্যর্থতা।’

দেশের চলমান সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘এটা তাদের ব্যর্থতা ধরলেও ধরতে পারেন। তবে নাশকতা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

বুধবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের এক নম্বর গেটের সামনে সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোট আয়োজিত ২০ দলীয় জোটের হরতাল ও অবরোধের প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

কামরুল বলেন, ‘চলমান নাশকতা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু রাতের আঁধারে পেট্রোল বোমা মারা হচ্ছে। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে নিবৃত্ত করতে পারছে না।’

বিএনপির ঢাকা মহানগরীর সাবেক সভাপতি সাদেক হোসেন খোকার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে কামরুল বলেন, ‘সন্ত্রাস ও নাশকতা বাদ দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে আপনারা মাঠে নামুন। আমরাও মাঠে থাকবো। পুলিশ কারও প্রতিপক্ষ নয়। তারা পক্ষপাতমূলক আচরণ করবে না। আপনারা জনগণকে সম্পৃক্ত করতে ব্যর্থ হবেন। আমি আপনার প্রতি এ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলাম। তখনই প্রমাণ হবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ না বিএনপির।’

বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমান সন্ত্রাস ও নাশকতা চালানোর নির্দেশ দিচ্ছেন অভিযোগ করে কামরুল বলেন, ‘তারেক রহমান লন্ডনে বসে নির্দেশ দিচ্ছেন। সাহস থাকলে দেশের মাটিতে এসে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিক।’

বিএনপির সিনিয়র নেতারা এই সন্ত্রাস পছন্দ করেন না দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারেকের নির্দেশেই নাশকতা করা হচ্ছে। কিন্তু আজকে বিএনপির সিনিয়র নেতারা কথা বলেন না। কারণ তারা সন্ত্রাস ও নাশকতা পছন্দ করেন না। তারা এ থেকে বেরিয়েও আসতে পারছেন না। তবে সেদিন বেশি দূরে নয়, যখন বিএনপির শুভবুদ্ধির নেতারা সত্য কথা বলে বিএনপি থেকে বেরিয়ে আসবেন!’

সংগঠনের সভাপতি আব্দুল হক সবুজের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজউদ্দিন মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক জামাল উদ্দিন প্রমুখ।