গাজীপুরের হারিনাল ও টাঙ্গাইলের কাগমারা এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে পৃথক অভিযানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে ৪ ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে। এছাড়াও গাজীপুরের পাতারটেক এলাকায় আরেকটি বাড়িতে অভিযান চলছে।
শনিবার সকালে পৃথক অভিযানে এই ৪ ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে।
শনিবার ভোর থেকে গাজীপুরের হারিনাল এলাকায় একটি বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ ও র্যাব। পরে সকাল সাড়ে আটটার দিকে সেটিতে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সকাল ১১টায় অভিযানের শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাহিনীর গুলিতে সন্দেহভাজন দুই ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছেন।
তাদের নামপরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, একতলা ওই বাড়ির মালিকের নাম আতাউর রহমান। তিনি সপরিবারে ঢাকায় থাকেন। মাস দুয়েক আগে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর বাড়িটিতে তিনটি পরিবারকে ভাড়া দেন তিনি।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লে. কর্নেল মুফতি মাহমুদ খান জানান, কয়েকজন জঙ্গি বাড়িটিতে অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সকালে বাড়িটি ঘিরে ফেলে র্যাব ও পুলিশ। পরে সকাল আটটার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল বাড়িটিতে অভিযান শুরু করে। দরজা ভেঙে একটি কক্ষে ঢোকার চেষ্টা করলে জঙ্গিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাব ও পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে দুই ‘জঙ্গি’ ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
অভিযানের সময় বিপুল সংখ্যক বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে বলে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান। দুপুরের দিকে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আমীর হোসেন জানান, জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে নোয়াগাও পাতারটেক এলাকায় আরেকটি বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। সকাল ১০টার দিকে ওসমান নামের এক ব্যক্তির দুই তলা বাড়িতে এই অভিযান শুরু হয়েছে।
এদিকে, টাঙ্গাইল শহরের কাগমারা এলাকাতেও আজ সকালে র্যাব-১২-এর অভিযানে দু’জন ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে।
র্যাব-১২ এর অধিনায়ক শাহাবুদ্দিন খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সকালে কাগমারায় একটি বাড়ীকে ঘিরে ফেলে র্যাবের সদস্যরা।
এসময় ভেতর থেকে ‘সন্ত্রাসীরা’ র্যাবকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়ে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলেন জানান তিনি।
ভেতরে অস্ত্র, গুলি ও বোমা রয়েছে। পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়-করণ দলকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে আসছে।
এই দুজন নিহত সন্দেহভাজনের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি