সিটিএন ডেস্ক :
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলেও সম্প্রতি চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। সামান্য জ্বরেও কখনও কখনও এর ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, দ্রুত অসুখ সারাতে যে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, সেই অ্যান্টিবায়োটিকই কারণ হতে পারে ডায়াবেটিসের।
ডেনমার্কের একদল গবেষক এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন। ‘ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম’ জার্নালে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অ্যান্টিবায়োটিক এড়িয়ে চলাদের চেয়ে যারা এর অধিক ব্যবহার করেন, তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
প্রতিবেদনটি প্রস্তুতের সময় গবেষকদল ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০৪ জন টাইপ-২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী ও ১৩ লাখ ডায়াবেটিস আক্রান্ত নন এমন লোকের
চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র পরীক্ষা করেন। এতে দেখা যায়, অধিক অ্যান্টিবায়োটিকসেবীদের মধ্যেই টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
গবেষকদলের একজন ডেনমার্কের হেলেরাপ শহরে অবস্থিত গেনটফটে হাসপাতালের চিকিৎসক ক্রিস্টিয়ান হ্যালান্ডবায়েক মাইকেলসেন বলেছেন, গবেষণায় আমরা দেখেছি, যারা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের বেশিরভাগই ১৫ বছর বা তার বেশি সময় ধরে অধিক অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করে এসেছেন।
|
তবে এই গবেষণাই শেষ সিদ্ধান্ত বলে মানতে নারাজ মাইকেলসেন। তিনি বলেন, গবেষণায় অ্যান্টিবায়োটিকের অধিক ব্যবহার টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
বাড়িয়ে দিতে পারে বলে ধারণা পাওয়া গেছে মাত্র। দীর্ঘদিন ধরে কোনো সংক্রমণ দেহে বাসা বেঁধে থাকলেও এ ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ।
সাধারণত একজন মানুষ তখনই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, যখন তার দেহে ইনসুলিন তৈরির প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় বা তা কাজ করে না। ফলে রক্তে চিনির (সুগার) পরিমাণ বেড়ে যায়।
এর আগেও একটি গবেষণা প্রতিবেদনে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে অ্যান্টিবায়োটিকের অধিক ব্যবহারকে অন্যতম কারণ বলে দাবি করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের ওষুধ মানুষের অন্ত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়ার চরিত্র বদলে দিতে পারে। এসব ব্যাকটেরিয়া তখন রক্তে থাকা চিনি বিপাকে বাধার সৃষ্টি করে।