অ্যান্টার্কটিকায় দাবদাহ, রেকর্ড তাপমাত্রা

সিটিএন ডেস্কঃ

জানুয়ারির শেষ দিকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করার পর অ্যান্টার্কটিক মহাদেশে বছরের প্রথম দাবদাহ রেকর্ড করেছেনে বিজ্ঞানীরা৷

যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গবেষকরা বলেছেন, জলবায়ুর এ পরিবর্তনের ফলে সেখানকার উদ্ভিত ও প্রাণী জৎগতে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে৷

‘অস্ট্রেলিয়ান অ্যান্টার্কটিক প্রোগ্রাম’ এর গবেষকরা ইস্ট অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত ‘কেসি রিসার্চ স্টেশন’ থেকে এই দাবদাহ রেকর্ড করেছেন৷ গ্লোবাল চেঞ্জ বায়োলজি জার্নালে মঙ্গলবার তাদের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ পায়৷ জলবায়ুর এই পরিবর্তন বৈশ্বিক আবহাওয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে বলেও সতর্ক করেছে তারা৷

গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে কেসির গবেষক দল ওই স্টেশনে বসে এখন পর্যন্ত গ্রীষ্মকালে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দেখেছে৷ ওই সময়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গিয়েছিল৷ অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি উপরে উঠেছিল৷

বৈশ্বিক জলবায়ুতে প্রভাব

অ্যান্টার্কটিকায় জলবায়ুর এই পরিবর্তন সারা বিশ্বে প্রভাব ফেলতে পারে৷ গবেষণাপত্রে বলা হয়, ‘‘দক্ষিণ মহাসাগরের কারণে বাকি বিশ্ব থেকে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ বিচ্ছিন্ন থাকলেও এখান থেকেই সমুদ্রের পানির প্রবাহ পরিচালিত হয়৷ যার মাধ্যমে সারা বিশ্বে সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা উঠানামা করে৷ একই সাথে এখানকার হিমবাহগুলো গলে গিয়ে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়িয়ে দিচ্ছে৷”

যদিও অপেক্ষাকৃত উত্তপ্ত গ্রীষ্মকাল অ্যান্টার্কটিকার স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য প্রাথমিকভাবে লাভজনকই হবে৷ কিন্তু একই সঙ্গে এটা খরার ঝুঁকি বাড়াবে৷ এছাড়া শীতল পরিবেশের প্রাণীদের জন্য এই তাপ মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনতে পারে৷

‘‘অ্যান্টার্কটিকার সব মানুষ ও প্রাণী জমাট বাঁধা সমুদ্র দেখেই অভ্যস্ত৷ তারা সমুদ্রের খুব কম অংশ বরফহীন থাকতে দেখেছে৷ তাদের পানির সরবরাহও সম্পূর্ণরূপে তুষার ও বরফ গলা পানির উপর নির্ভরশীল৷

তাপমাত্রা বেড়ে বেশি বরফ গললে সাময়িকভাবে হয়তো বাসিন্দাদের পানির কষ্ট কমে যাব৷ কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে তারা খরা পীড়ত হবেন৷”

দ্রুত বরফ গলে যাওয়ার প্রভাব সারা বিশ্বের উপরও পড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা৷


শেয়ার করুন