অহমিকা প্রর্দশনে টেকনাফের মানুষ এগিয়ে, উৎস ইয়াবার টাকা!

11825144_1171613516197740_7478480843225758999_nমুহাম্মদ হোসাইন :

বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা কক্সবাজার জেলার টেকনাফের মানুষ অন্যান্য সময়ের চেয়ে প্রায় এক যুগ ধরে দাপুটে আর অহমিকা দেখাতে বেশি সাচছন্দ্যবোধে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।সম্প্রতি এক জরিপে দেখাযায়, টেকনাফে দীর্ঘ সময় ধরে মুসলমান, চাকমা,রাখাইন, হিন্দু শ্রেণীর লোকজনদের সমন্বিত প্রয়াসে অনন্য সম্প্রীতির সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে আসছে।

আর এখানকার মানুষের উর্পাজনের পাথেয় ছিল পান চাষ,জুম চাষ,সুপারী বাগান,সাগরে মাছ ধরা, দূর পাল্লায় বিভিন্ন ব্যবসাবানিজ্য করা অথবা বিদেশ গিয়ে উপার্জন করা ইত্যাদি। কিন্তু এখন টেকনাফের মানুষ আগের মতো নেই! কারণ এখানকার প্রায় ঘরের ছেলে-সন্তান বহুমূখী ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে নিজেদের পরিবারকে অনেক সচছল করে তুলেছে।

এমকি পরিবর্তন হয়েছে নিজে, গড়েছে সপ্নময় ঘর, কিনছে গাড়ি। এসব কিছুর মাঝে রয়েছে আরো অনেক নতুনত্ব। এতে এই এলাকার কিছু শ্রেণীর মানুষ যে কোন বিষয়ে নিজের প্রভাব ও আধিপত্য দেখাতে একটুকু ভুল করবে না কারণ তার রয়েছে অনেক টাকার প্রভাব। খোদ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে যে কোন পেশার মানুষ।

এমনকি কেউ যদি ভূলবশত অপরাধও করে এতে এসব লোক কোনভাবেই ক্ষমা করতে চায়না। য়ার প্রমাণ্য ঘটনার বিবরণ বললেন কক্সবাজারের এক সিএনজি চালক আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, এই বছর রমজানে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গেলে সেখানে দেখি ফার্মেসীতে উপচেপড়া ভীড়। কৌতূহলটি কি দেখতে গিয়ে দেখলাম সদ্য গুম হওয়া টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যানের পুত্র মোস্তাক আহম্মদ খুব হাকাবকা করছে আর বলতেছে তোদের পুরা হাসপাতাল কত বল? এসব অপদার্থ মার্কা দায়িত্বশীল দেখাছ আমার সাথে? আমাকে ছিনছ? তখন জানলাম তার চিকিৎসাধীন স্ত্রীর ভাল সেবা না পাওয়াতে এই অবস্থা। আসলে শুধু এক মোস্তাক নয় প্রায় টেকনাফের লোকজন সবসময় বেশি অহমিকা দেখাতে চায় । জরিপে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচেছ, সম্প্রতি সীমান্ত এলাকা টেকনাফের মানুষ আগে বৈধ পন্থায় ব্যবসা করতো আর এখন ইয়াবা ব্যবসার টাকার জোর সবার নিকটে কি সাধু, ছাত্র,রাজনীতিবিদ,ব্যবসায়ী.এনজিও কর্মী, রিক্সা চালক, দিনমজুরি।

যার ফলে অর্থের শক্তি সাহসে এখানকার মানুষ সম্প্রতি রুঢ প্রকৃতি হতে চলছে। এনকি এক ২২ বছরের যুবককে মোটর সাইকেলের দ্রুত গতিবেগ দেখে স্থানীয় টেকনাফের মাহবুবুল আলম থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব কচি কচি ছেলেদের ব্যংাক ব্যালেন্স ১ কোটি টাকার উপরে। কয়েকবার জেল কাটার পরও আবার এই ব্যবসা করছে।

এই কারণে তাদের কাছে কোন সম্মানিত মানুষ ভাল কিছু আশা করতে পারছে না। এ ছাড়া দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ টেকনাফে হওয়ায় পর্যটকরা আসেন নিয়মিত কিন্তু এ সমস্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম রুখতে প্রশানের তল্লাশি চলে প্রতিটি চেক পয়েন্টে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ পর্যটকরা এসব কিছু দেখ প্রতি মূহুর্তে বিরুপ মন্তব্য করছে। যেন এক টেকনাফের অল্প সংখ্যক ইয়াবা ব্যবসায়ীদের জন্য পূরো বাংলাদেশ ইয়াবা আতঙ্কে পরিণত হয়ে যাচেছ।


শেয়ার করুন