অসুস্থ ভাইকে কাঁধে নিয়ে ৮ কিমি হেঁটে হাসপাতালে অনাথ বালিকা

11418477_995302460489812_1578027331_nসিটিএন ডেস্ক:

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু বয়স বাড়লেই কি মানুষ প্রবীণ হন। বোধ হয় না। অভিজ্ঞতা বয়সের গ-ি মানে না। অনেক ছোট বয়সে এমন কিছু অভিজ্ঞতা থাকে, যা বয়সের তুলনায় মানুষকে অনেকটা প্রবীণ করে তোলে। হয়তো এভাবেই প্রবীণ হয়ে উঠেছে বছর এগারোর মালতী। বছর চারেকের ছোট ভাইয়ের জ্বর নামছে না দেখে তাকে কাঁধে করে এই বয়সে ৮ কিলোমিটার পথ হেঁটে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে এই অনাথ কিশোরী। সপ্তাহ খানেক আগে ঝাড়খ-েরই অসহায় এক বাবার ঘটনা সামনে এসেছিল, যেখানে ৯ বছরের ধর্ষিতা কন্যাকে কোলে করে রোজ ৪ কিলোমিটার পথ হেঁটে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যান ড্রেসিং করানোর জন্য। রোদ, ঝড়, জল কোনও খামতি নেই। সে ঘটনা সকলকে বেশ অবাকই করেছিল।
এর পর মালতির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সেই একই রাজ্যের মেয়ে মালতী। আদিবাসি অঞ্চলের গোড্ডা জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে “িা এবং ভাইয়ের সঙ্গে থাকে সে। মা-বাবাকে অল্প বয়সেই হারিয়েছে তারা। আপন বলতে ওই দু’ জনই। গ্রামে সামান্য প্রাথমিক চিকিৎ‍সার ব্যবস্থাটুকুও নেই। আরও পড়ুন: ধর্ষণের ক্ষত, মেয়ে কোলে রোজ ৪ কিমি হাঁটেন বাবা! এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে ভাইয়ের। সেবা-শুশ্রূষা করেও কোনও ফল হয়নি। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়াই স্থির করে মালতী। বাড়িতে “িা ছাড়া কোনও অভিভাবক নেই। তাঁর বয়সও হয়েছে অনেক। ফলে তিনি যে ভাইকে নিয়ে যেতে পারবেন না তা ভালোই জানত মালতী। ভাইকে বাঁচাতে প্রাণ বাজি রেখে এই ছোট্ট বয়সে তাকে কাঁধে করে ৮ কিলোমিটার হেঁটে সুন্দরপাহাড়ি হাসপাতালে পৌঁছে যায় সে।
ডাক্তাররা জানান, সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে ভাইকে। এ বার কী করবে স্তে না এ বার আর কাঁধে করে হাঁটতে হয়নি। মনোজ ভগত নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির প্রচেষ্টায় গাড়ি করেই তাঁকে সদর হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়। ঘটনা যেমন প্রশংসার দাবি রাখে, তেমনই কয়েকটি প্রশ্ন সকলের সামনে তুলে ধরে। কেন এত খারাপ অবস্থা গ্রামগুলির? কেন এত দারিদ্র? যেখানে ঝাড়খ-ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন নির্বাচন লড়েন, তার এত খারাপ অবস্থা হয় কী করে? প্রশ্ন আছে, থাকবেও। কিন্তু উত্তর নেই। -এই সময়


শেয়ার করুন