অসমাজিক কার্যকলাপ অব্যাহত থাকায় পুলিশ সুপারকে স্বারকলিপি প্রদান করলেন বাহারছড়াবাসী

gegসংবাদ বিজ্ঞপ্তি:

কক্সবাজার শহরের ঐতিয্যাবাহী গ্রাম বৃহত্তর বাহারছড়ায় কয়েকটি স্পটে অবাধে মাদক ও পতিতা ব্যবসা অব্যাহত থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। শহরের ঐতিয্যবাহী বাহারছড়া এলাকায় প্রকাশ্যে জগন্যতম অপরাধ অবিলম্বে বন্ধের দাবিতে গতকাল সোমবার(৫ জানুয়ারী ২০১৫) দুপুর ১টায় এলাকার ছাত্র ও যুব সমাজের যৌথ উদ্যোগে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জেলা পুলিশ শ্যামল কুমার নাথ’র নিকট স্বারকলিপি প্রদান করেন। স্বারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ, সহকারী পুলিশ সুপার ছত্রধর ত্রিপুরা ও মডেল থানার ওসি মতিউল ইসলাম সহ আরো কয়েকজন উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্ত। সেসময় বৃহত্তর বাহারছড়াকে মাদক সহ সকল অপরাধ কর্মকান্ড দ্রুত বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবেন বলে উপস্থিত এলাকাবাসীকে আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার। পাশাপাশি মাদক স¤্রাট কালু ও তার সিন্ডিকেটের সকলকে আইনের আওতান নিয়ে আসতে যথাযত ব্যবস্থা হাতে নিবেন বলেও আশ্বাস প্রদান করেন পুলিশ সুপার। বাহারছড়াবাসির পক্ষে পুলিশ সুপারের নিকট স্বারকলিপি প্রদান করেন, এলাকার বিশিষ্ট যুবনেতা কক্সবাজার জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন মাসু, সাবেক ছাত্রনেতা ও বিশিষ্ট যুবনেতা নাজিম উদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কক্সবাজার শহর শাখার সভাপতি সোয়েব ইফতেখার, বিশিষ্ট ঠিকাদার ও যুবনেতা আবছার উদ্দিন, দৈনিক সকালের কক্সবাজার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সাংবাদিক মহসীন শেখ, নজরুল ইসলাম, কফিল উদ্দিন কফিল, আমির হোসেন আমু, মো: ইব্রাহিম, করিম উল্লাহ বাদশা, রূপন চৌধুরী, মো: হোসেন মাসুম, আবু তাহের আবু, আলাহ উদ্দিন সাগর, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ, গত ৩১ ডিসেম্বর বাহারছড়াকে মাদক ও পতিতা সহ সকল অপরাধ কর্মকান্ড বন্ধের দাবিতে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র সরওয়ার কামালের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের নিকট স্বারকলিপি প্রদান করেন এলাকাবাসী। স্বারকলিপি প্রদানকালে জেলা প্রশাসক মো: রুহুল আমিন দ্রুত ওসব অপরাধ বন্ধে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন বলে আশ্বাস দেন। পাশাপাশি বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারকেও অবহিত করবেন বলেন জেলা প্রশাসক।

স্বারকলিপি প্রদানকালে এলাকাবাসী পুলিশ সুপারকে অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার নিজ বাড়িতে প্রকাশ্যে মাদকের মিনি বার খুলে হরেক রকম মরণ নেশা মাদকের অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে অর্ধ শতাধিক মাদক মামলার আসামী মাদক স¤্রাট খ্যাত মো: কালু। তার মাদক ব্যবসার প্রধান সহযোগী আপন শ্যালক কেরামত আলী, মো: আলী ও তার ভায়রা মো: শাহজাহান সহ স্থানীয় শওকত আলীর পূত্র আলমগীর সহ ঘৃণ্যতম ওই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। একই ভাবে এলাকাবাসী অভিযোগ করে আরোও বলেন, পশ্চিম বাহারছড়াস্থ সাবেক এক পুলিশ সদস্যের সহযোগীতায় তার নিজ ভাড়া বাসায় শহরের চিহ্নিত মাদক সেবী ও দেহ ব্যবসী রুজিনা প্রকাশ চুনচুনি তার বোন দূ:চরিত্রা আমেনা, মর্জিনা ও শারমিন একটি ভাড়া বাসায় অবস্থান করে চালিয়ে যাচ্ছে পতিতা ব্যবসা। প্রতিদিন ওই এলাকায় তারা অষ্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও হল্যান্ড’র কয়েকজন নাগরিক নিয়মিত অবস্থান করে মাদক সেবন সহ নানা অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। চিহ্নিত ওই পতিতাদের অনৈতিক কর্মকান্ডে বাধা দিতে গিয়ে দূ:চরিত্রা ওসব মহিলার হাতে নাজেহালের শিকার হতে হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় বেশ কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে চিহ্নিত ওই অপরাধী মহিলারা কক্সবাজার মডেল থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানিয়েছেন এলাকাবাসী। অবিলম্বে এলাকার যুবকদের বিরুদ্ধে মডেল থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা অভিযোগও প্রত্যাহারের দাবি জানান পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে। (উল্লেখিত অভিযোগের ফলে গত নভেম্বরের শেষ দিকে শহরের কবরস্থান পাড়া থেকে স্থানীয় এলাকাবাসী ওই নারীদের বিতাড়িত করার পর স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বর্তমানে শহরের পর্যটন হোটেলের সম্মূখস্থ পশ্চিম বাহারছড়ায় অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।) একই গলিতে শহরের চিহ্নিত পতিতা জুনি, তানিয়া ও রহিমার নেতৃত্বে প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা ও সমুদ্রে আহরণ নিষিদ্ধ পচা শামুক-ঝিনুকের গুদামজাত করে অবৈধ ব্যবসা অনৈতিক কর্মকান্ডে এলাকার সম্মান ক্ষুন্ন হওয়ার পাশাপাশি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বলে জানান এলাকাবাসী।


শেয়ার করুন