অভিযানে পিছু হটেছে আরাকান আর্মি

117936_1সিটিএন ডেস্ক :

সেনাবাহিনী ও বিজিবির যৌথ অভিযানে বান্দরবানের থানচির দুর্গম পাহাড় থেকে পিছু হটেছে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মি।

বুধবার বিকেল তিনটার দিকে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যেই আরাকান আর্মির সদস্যরা পিছু হটে।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। বিজিবির পাশাপাশি সেনা সদস্যরাও দুর্গম এলাকায় তল্লাশি পরিচালনা করছে।
?

তিনি জানান, সকালে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির গুলিতে আহত বিজিবির নায়েক জাকির হোসেন এবং সিপাহী আব্দুল গনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে। বান্দরবানের থানচি থেকে হেলিকপ্টারে করে তাদের চট্টগ্রামে আনা হয়।

এর আগে দুপুরে বিজিবি মহাপরিচালক জানান, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার পর বান্দরবানের বড় মদক এলাকায় সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে।

একই সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যাতে ফিরে যেতে না পারে সেজন্য সীমান্ত সিল করে দিতে মিয়ানমারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সেনাবাহিনী এবং বিজিবি সদস্যরা দুপুরের মধ্যে হেলিকপ্টারে এবং অন্যান্য মাধ্যমে বান্দরবানের থানচি এলাকায় পৌঁছায়। পরে শুরু হয় যৌথ অভিযান। কয়েক ঘণ্টার বন্দুকযুদ্ধের পর আরাকান আর্মির সদস্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

এ অভিযানে বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর কেউ হতাহত হননি। তবে আরাকান আর্মির কতজন আহত বা নিহত হয়েছেন, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

এর আগে বুধবার সকাল নয়টার দিকে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান লিবারেশন আর্মির সদস্যরা বিজিবির একটি টহল দল ও বড় মদক বিজিবি ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে।

এতে বিজিবির নায়েক জাকির হোসেন ও সিপাহী আব্দুল গনি আহত হন। এ সময় বিজিবি পাল্টা গুলি ছুড়লে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরকান আর্মি সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহারের জন্য বান্দরবান থেকে ১৪/১৫টি ঘোড়া বড় মদক নেয়ার সময় তিন্দু বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা আটক করে।

ঘোড়া আটকের ঘটনার জের ধরে আরকান আর্মির সন্ত্রাসীরা বিজিবির ওপর এই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


শেয়ার করুন