অবহেলিত বাইশারীর হতদরিদ্র পাহাড়িদের চিকিৎসা দিলেন বিজিবি

27.01.2015 AT
মুফিজুর রহমান, বাইশারী:
বান্দরবানের চির অবহেলিত বাইশারীর হতদরিদ্র ও পাহাড়ী জনগনের চিকিৎসা দিতে এগিয়ে এলেন নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ৩১ বিজিবির সদস্যরা। মঙ্গলবার বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দিন ব্যাপি এক চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়।
সম্প্রীতি ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গরীব ও দুস্থ বাঙ্গালী এবং পাহাড়ী জনসাধারণের মাঝে এ চিকিৎসা শিবিরে ৫ সেনা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চিকিৎসা দেন রোগীদের মাঝে। এরা হলেন ডাঃ লেঃ কর্নেল ছৈয়দ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, ডাঃ মেজর আজমিরী হোসেন, ডাঃ ক্যাপ্টেন হারুন অর রশিদ, ডাঃ ক্যাপ্টেন মমতা শারমীন, ডাঃ ক্যাপ্টেন দেবাশিষ। চিকিৎসা শিবিরে বিশেষজ্ঞ এ ডাক্তারেরা চিকিৎসা দেন মেডিসিন, গাইনী, ডেন্টাল, সার্জিকেল, প্রসূতি, মা ও শিশু রোগীদের।
চিকিৎসা শিবির উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ৩১ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল হাসান মোরশেদ পিএসসি জি+ বলেন, মায়ানমার সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা, চোরাচালান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আত্ম-সামাজিক উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ পাহাড়ী বাঙ্গালী শীতার্ত ও অসুস্থ রোগিদের সেবা দিতে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ৩১ বিজিবি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চিকিৎসা শিবিরের এ বিশাল আয়োজনও তার অংশ বিশেষ। এ পর্যন্ত বিজিবি নাইক্ষ্যংছড়ির কয়েক হাজার শীতার্ত মানুষকে কম্বল বিতরণ করেছেন। আর চিকিৎসা সেবা দিয়েছে কয়েক হাজারের। প্রতি সপ্তাহে ব্যাটালিয়ন সদরে শত শত রোগিকে চিকিৎসা দেন ৩১ বিজিবির মেডিক্যাল অফিসাররা।
উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু শাফায়াত মোঃ শাহে দুল ইসলাম। অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল হক মনু, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ আলম, বাইশারী বাজার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাহাদুর প্রমুখ।
চিকিৎসা শিবিরে আগত ষাটোর্ধ্ব উপজাতীয় বৃদ্ধা বাইশারী চাক হেডম্যান পাড়ার মৃত ধুংছি চাকের স্ত্রী মৌছা চাক জানান, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের বিনা মূল্যের এ ধরণের চিকিৎসা সেবা পেয়ে সে খুবই আনন্দিত। হতদরিদ্র এ বৃদ্ধা আরো জানান, পরিবারে তার কেউ নেই। আছে শুধু এক চুক্ষু প্রতিবন্ধি। বিনা চিকিৎসায় দীর্ঘদিন ধুকে ধুকে মরছিল। এমতাবস্থায় বিজিবির চিকিৎসা সেবা পাওয়ায় ভবিষ্যতের আশার আলো অনুভব করছেন সে।
চিকিৎসা নিতে আসা অনেক রোগী সাংবাদিকদের জানান, তারা এই প্রথম কোন এমবিবিএস বা প্রকৃত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ধরনের রোগী পাহাড়ে বসবাসরত চরই পাড়ার ¤্রাে উপজাতীয় বাসিন্দা ম্যানচং ¤্রাে বলেন, আগামীতেও পাহাড়ের মানুষ যেন এ ধরনের প্রকৃত এমবিবিএস ডাক্তারদের দিয়ে চিকিৎসা সেবা পান, এটাই তার কামনা।
অবহেলিত বাইশারীর হতদরিদ্র পাহাড়িদের চিকিৎসা দিলেন বিজিবি
মুফিজুর রহমান, বাইশারী:
বান্দরবানের চির অবহেলিত বাইশারীর হতদরিদ্র ও পাহাড়ী জনগনের চিকিৎসা দিতে এগিয়ে এলেন নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ৩১ বিজিবির সদস্যরা। মঙ্গলবার বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দিন ব্যাপি এক চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়।
সম্প্রীতি ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গরীব ও দুস্থ বাঙ্গালী এবং পাহাড়ী জনসাধারণের মাঝে এ চিকিৎসা শিবিরে ৫ সেনা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চিকিৎসা দেন রোগীদের মাঝে। এরা হলেন ডাঃ লেঃ কর্নেল ছৈয়দ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, ডাঃ মেজর আজমিরী হোসেন, ডাঃ ক্যাপ্টেন হারুন অর রশিদ, ডাঃ ক্যাপ্টেন মমতা শারমীন, ডাঃ ক্যাপ্টেন দেবাশিষ। চিকিৎসা শিবিরে বিশেষজ্ঞ এ ডাক্তারেরা চিকিৎসা দেন মেডিসিন, গাইনী, ডেন্টাল, সার্জিকেল, প্রসূতি, মা ও শিশু রোগীদের।
চিকিৎসা শিবির উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ৩১ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল হাসান মোরশেদ পিএসসি জি+ বলেন, মায়ানমার সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা, চোরাচালান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আত্ম-সামাজিক উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ পাহাড়ী বাঙ্গালী শীতার্ত ও অসুস্থ রোগিদের সেবা দিতে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ৩১ বিজিবি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চিকিৎসা শিবিরের এ বিশাল আয়োজনও তার অংশ বিশেষ। এ পর্যন্ত বিজিবি নাইক্ষ্যংছড়ির কয়েক হাজার শীতার্ত মানুষকে কম্বল বিতরণ করেছেন। আর চিকিৎসা সেবা দিয়েছে কয়েক হাজারের। প্রতি সপ্তাহে ব্যাটালিয়ন সদরে শত শত রোগিকে চিকিৎসা দেন ৩১ বিজিবির মেডিক্যাল অফিসাররা।
উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু শাফায়াত মোঃ শাহে দুল ইসলাম। অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল হক মনু, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ আলম, বাইশারী বাজার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাহাদুর প্রমুখ।
চিকিৎসা শিবিরে আগত ষাটোর্ধ্ব উপজাতীয় বৃদ্ধা বাইশারী চাক হেডম্যান পাড়ার মৃত ধুংছি চাকের স্ত্রী মৌছা চাক জানান, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের বিনা মূল্যের এ ধরণের চিকিৎসা সেবা পেয়ে সে খুবই আনন্দিত। হতদরিদ্র এ বৃদ্ধা আরো জানান, পরিবারে তার কেউ নেই। আছে শুধু এক চুক্ষু প্রতিবন্ধি। বিনা চিকিৎসায় দীর্ঘদিন ধুকে ধুকে মরছিল। এমতাবস্থায় বিজিবির চিকিৎসা সেবা পাওয়ায় ভবিষ্যতের আশার আলো অনুভব করছেন সে।
চিকিৎসা নিতে আসা অনেক রোগী সাংবাদিকদের জানান, তারা এই প্রথম কোন এমবিবিএস বা প্রকৃত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ধরনের রোগী পাহাড়ে বসবাসরত চরই পাড়ার ¤্রাে উপজাতীয় বাসিন্দা ম্যানচং ¤্রাে বলেন, আগামীতেও পাহাড়ের মানুষ যেন এ ধরনের প্রকৃত এমবিবিএস ডাক্তারদের দিয়ে চিকিৎসা সেবা পান, এটাই তার কামনা।


শেয়ার করুন