বাংলাদেশকে ‘সাইট’

অপপ্রচার না করে প্রকৃত শত্রুকে চিহ্নিত করুন

site-28.10.15সিটিএন ডেস্ক:

ইসলামিক স্টেট বা আইএস গত মাসে বাংলাদেশে ৩টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আবারও বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সাইট ইনটেলিজেন্স।
এক বিবৃতিতে সাইট বলছে, বাংলাদেশের উচিত সাইটের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করে, প্রকৃত শত্রুকে চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া।
এদিকে, বাংলাদেশ সরকার আগের মতো বরাবরই সাইটের এই বিবৃতিতে মিথ্যা বলছে। সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে আইএস’র কোনো অস্তিত্ব নেই।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সাইট গত ২৭ অক্টোবর ‘বাংলাদেশ সরকার আইএস’র হামলার তথ্য স্বীকার করছে না’ শীর্ষক জরুরী প্রেস রিলিজ প্রকাশ করে। ওই প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, ইসলামিক স্টেট বা আইএস গত মাসে বাংলাদেশে ৩টি হামলার দায় স্বীকার করেছিল। এগুলো হচ্ছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ইতালির নাগরিক তাভেলা সিজারকে হত্যা, গত ৩ অক্টোবর জাপানের নাগরিক হোসে কুনিওকে হত্যা এবং গত ২৪ অক্টোবর পবিত্র আশুরার দিনে শিয়া ধর্মের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা।
বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়তার সঙ্গে আইএস’র ওই তিন হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছে। সরকারের এই অস্বীকারের ঘটনায় আইএস সকলকে ফাঁকি দিয়ে তাদের কর্মকাণ্ড চালানোর সুযোগ পাচ্ছে। সাইটের পরিচালক রিটা কাৎস সর্বপ্রথম বাংলাদেশে আইএস’র হামলার তথ্য সাইট-এ প্রকাশ করে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার সাইট’র বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
বাংলাদেশের গত ৩টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা আইএস ঘটিয়েছে, সাইট এখনও এই তথ্য বিশ্বাস করে। কেননা, এই বিষয়ে সাইট নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেয়েই তা প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সরকারের উচিত, সত্য তথ্য গ্রহণ করে, প্রকৃত শত্রুকে চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এই বিষয়ে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘বাংলাদেশে আইএস’র কোনো অস্তিত্ব নেই। সাইট তাদের ব্যবসায়িক উদ্দেশে এই অপপ্রচার করছে। সাইট সম্পর্কে খোঁজ নিলে দেখবেন যে এর আগে সাইট আরও অনেক মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সাইটের পরিচালক রিটা কাৎস বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য নিয়ে সাইট-এ তা ভরেন। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। সামনে এই বিষয়ে আপনাদের আরও তথ্য জানাবো।’
এদিকে, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বুধবার বলেন, ‘বাংলাদেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই। ইতালির নাগরিক হত্যার পেছনে বিএনপি’র নেতা এম এ কাইয়ুম জড়িত। আমরা এই বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করেছি। আর জাপানি নাগরিক হত্যা রহস্য উদঘাটনেও অনেক অগ্রগতি রয়েছে। আমরা এখনও আইএস বা এই জাতীয় কোনো সংগঠনের অস্তিত্বের সন্ধান পাইনি।


শেয়ার করুন