অনলাইন ও আইপিটিভি জন্য আলাদা উইং হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী

সিটিএন ডেস্কঃ
অনলাইন ও আইপিটিভিসহ অন্য সম্প্রচার মাধ্যমে যা সম্প্রচার হয় সেগুলো দেখার জন্য একটা আলাদা উইং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, আপাতত আমাদের যে জনবল আছে সে জনবল দিয়েই উইংটি শুরু করবো।

পরবর্তীসময়ে আমরা জনপ্রশাসনে লিখবো এখানে আরো জনবল সংযোজন করা জন্য।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

এসময় ডা. মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব খাজা মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে গত ১৫ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা নাম পরিবর্তনের জন্য কেবিনেট ডিভিশনকে লিখেছিলাম। কেবিনেট ডিভিশন সেটি পর্যালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর আবার কেবিনেট ডিভিশন হয়ে গেজেট নোটিফিকেশন হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয় তথ্যপ্রধান ও সরকারের কাজগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরা ছাড়াও সম্প্রচারের কাজটি করে আসছে। সস্প্রচারের কাজটি তথ্য মন্ত্রণালয় করে। এজন্য আমরা চাচ্ছিলাম যে এই মন্ত্রণালয়ের নাম কাজের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হোক। সে কারণে আমরা নাম পরিবর্তন করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় করার জন্য আমরা প্রস্তাব পেশ করেছিলাম।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই মন্ত্রণালয়ের নাম শুরুতে দেশের প্রথম সরকার বা মুজিবনগর সরকারের সময় ছিল তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়। এরপর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পরিচালনা করছিলেন বা বিজনেস অব অ্যালোকেশন ঠিক করা হলো তখন এ মন্ত্রণালয়ের নাম দেওয়া হয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। তারপর ১৯৭৫ সালের পরে ১৯৮২ সালে এ মন্ত্রণালয়েন নাম পরিবর্তন করে তথ্য মন্ত্রণালয় দেওয়া হয়।

‘যেহেতু আমরাই সম্প্রচারের কাজটি দেখভাল করি এবং রেগুলেট করা আমাদের দায়িত্ব- এ কারণে কাজের সঙ্গে সঙ্গতি রাখার জন্যই এ প্রস্তাবটি করেছিলাম। এছাড়া ভারতেও এ মন্ত্রণালয়ের নাম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং পাকিস্তানেও এ নাম। ’

হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে তথ্য মন্ত্রণালয় নাম থাকার কারণে নানা বিভ্রান্তিও তৈরি হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নামে আরো একটি মন্ত্রণালয় রয়েছে। এতে দেখা যায় তাদের চিঠি আমাদের কাছে আসে এবং আমাদের চিঠি তাদের কাছে চলে যায়, এরকম ঘটনা বহুবার ঘটেছে।

‘সম্প্রচারের বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রচার এখন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সম্প্রচার, অনলাইন মিডিয়ার সম্প্রচার আছে- এসব কিছু দেখভাল আমাদেরই দেখতে হয়। এগুলোর জন্য নীতিমালা প্রণয়ন থেকে শুরু করে অন্য কাজগুলি আমাদেরই করতে হয়। সে কারণে এ মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে আমি মনে করি আমাদের কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা আছে। তবে কী কারণে ১৯৮২ সালে নাম পরিবর্তন করা হলো সেটা আমার জানা নেই। ’

কাজের ক্ষেত্র বাড়ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজের ক্ষেত্র যেটি আছে তেমনি থাকবে। তবে কাজের ক্ষেত্রে যে নানান রকমের বিভ্রান্তি হয় সেটা এখন আর থাকবে না।

তথ্য ও সম্প্রচার নিয়ে আলাদা দু’টি বিভাগ তৈরি হবে কিনা জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, না, আলাদা বিভাগের প্রয়োজন নেই। তবে আমরা আমাদের মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইনে আরো নিবিড়ভাবে সেবা দিতে ও কাজ করতে পারি সে লক্ষ্যে আমাদের একটা আলাদা উইং করা হচ্ছে। আগে আলাদা কোনো সেল ছিল না। এখন আমাদের মিডিয়া উইং সেটা দেখে। এজন্য সেখানে আলাদা আরো একটা উইং করার পরিকল্পনা নিয়েছি।

‘আপাতত আমাদের যে জনবল আছে সে জনবল দিয়েই সে উইংটি শুরু করবো। পরবর্তীসময়ে আমরা জনপ্রশাসনে লিখবো এখানে আরো জনবল সংযোজন করা জন্য। ’

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে করোনার শুরু থেকে কখনো লকডাউন দেওয়া হয়নি। সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা যখন পিকে ছিল তখনও লকডাউন দেওয়া হয়নি। সুতরাং, ভবিষ্যতে সেটি দেওয়ার কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। মানুষের মনের ভীতি চলে গেছে, টিকা নেওয়ার পর মনে করছে করোনা চলে গেছে। এছাড়া মানুষ যেভাবে স্বাস্থ্য সচেতনতা অবলম্বন করছিল এখন সেটা আগের মতো করছে না। এজন্য আমি মনে করি এখন আমরা যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছি না সেটা ভুল হচ্ছে।

‘এখন আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন এবং যতদূর সম্ভব জনসভা এড়ানো প্রয়োজন। এগুলো করলেই করোনা অনেক নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। ’


শেয়ার করুন