নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
টেকনাফের হোয়াইক্যং দৈংগাকাটা এলাকায় অবস্থিত এম.কে.বি ব্রিকস ও এ. এইচ বি ব্রিকস।
এগুলো স্থাপন করতে গিয়ে নষ্ট হয়েছে বনাঞ্চল ও ফসলি জমি। নিয়ম না থাকা সত্বেও গড়ে তোলা হয়েছে বনের পাশে।
পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন অবৈধ এসব ইটভাটার চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে নির্বিচারে উজাড় হচ্ছে বনের কাঠ। নষ্ট হচ্ছে প্রতিবেশ।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ইটভাটায় কয়লা পুড়ানোর কথা বললেও মূলত রাতের অন্ধকারে গোপনে চুল্লিতে কাঠ ঢুকানো হয়। এসব কাঠ সংগ্রহ করা হয় পাশর্^বর্তী পাহাড়ি এলাকা থেকে। কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে উজাড় হয়ে যাচ্ছে সামাজিক বনায়নও।
এই ইটভাটা দুটির ১০০ গজের মধ্যে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি সরকারি ক্লিনিক, দুটি মসজিদ, ফসলি জমি ও বনবিভাগের বাগান অনেক ঘরবাড়ি রয়েছে। যা ব্রিকফিল্ড স্থাপন ও নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ এর সুস্পষ্ট লংঘন। এই ইটভাটার কারণে কমলমতি শিশুরা শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, ক্যান্সার সহ বহু জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পরিবেশবাদী সংগঠনের এক আইনজীবী বলেন, ফসলি জমিতে অথবা লোকালয় বা স্কুল মাদ্রাসার পাশে ব্রিক ফিল্ড তৈরি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য যত্রতত্র ব্রিকফিল্ড স্থাপন কারীদের বিরুদ্ধে যথাসময়ে ব্যবস্থা না নিলে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়তে পারে।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় বন বিভাগ বিভিন্ন সময় অত্র ইটভাটার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নিকট অভিযোগ করলেও প্রশাসন উক্ত অবৈধ ইটভাটা বন্ধের ব্যাপারে এখনও কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই।
উল্লেখ্য গত ১৩ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করে। এর পর থেকে আবারও ইটভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।