আব্দুল মালেক, সেন্টমার্টিন :
সেন্টমার্টিন জিনজিরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্বপাশে রাস্থায় পড়ে থাকা মো: সলিমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন যুবক দাফনকাজে অংশ নেন। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান ও হাবিবুর রহমান খাঁন মেম্বার, আবু বক্কর, নজরুল ইসলামসহ পুলিশ ও কোষ্টগার্ড কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ১৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দুপুর সাড়ে ১২ টায় দাফনকাজ শেষ হয়।
এলাকার লোকজন জানান- সলিম করোনা আক্রান্তে নই স্বাভাবিক মৃত্যু হয় তার। তবে বুধবার উপজেলা মেডিকেল টিম এসে মৃত সলিমের বাড়ির সদস্যদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে এমনটায় জানান প্রশাসন।
সেন্টমার্টিন পশ্চিমপাড়া এলাকার মো: সলিম (৪৮) সকাল সাড়ে ৮টায় হসপাতালে যাওয়ার জন্য বের হলে রাস্তায় হঠাৎ পড়ে যায়। রাস্তায় পড়ে থাকা সলিমের পাশে করোনা ভয়ে কেউ এগিয়ে যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। দ্বীপের মানুষ আতংকে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সলিম একজন জেলে। সেন্টমার্টিন পশ্চিমপাড়ার মো: হারুনুর রশিদের মালিকানাধীন ফিশিং বোটের মাঝী মৃত্যু মো: সলিম।
হারুন জানান, দীর্ঘবছর ধরে তার ফিশিং ট্রলারে মাছ ধরার কাজ করেন সলিম। সে মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লে মাছ ধরতেও যেতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরে সে অসুস্থতায় ভুগছে। তবে ৫/৬ দিনে ধরে জ¦র কাশি বেড়ে গেছে বলে জানি।
এক জেলে বলেন, সলিম প্রতিনিয়ত গাজা সেবন করতো। ধুমপানও করতেন নিয়মিত।
পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সলিম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। প্রায় সময় ডাক্তার দেখাতে টেকনাফ যাওয়া হয়। কয়েকদিন আগে তার খাবার ঔষধ শেষ হয়ে যায়। স্থানীয়ভাবে ডাক্তার দেখাতে সেন্টমার্টিন পশ্চিমপাড়া নিজ বাড়ি থেকে সলিম সকাল ৮ টায় বের হয়। কিছুক্ষণ পর খবর পাওয়া যায় জিনজিরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্বপাশে রাস্তায় পড়ে যায় সে। শক্ত ফ্লোরে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতরভাবে আঘাত পেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। সলিমের স্ত্রী, ১ মেয়ে, ১ ছেলে রয়েছে।
সেন্টমার্টিনে রাস্তায় পড়ে থাকা লাশের দাফন
শেয়ার করুন