সিটিএন ডেস্ক
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে আওয়ামী লীগের অঘোষিত নেতা আখ্যা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই সিইসি দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কোনোমতেই সম্ভব নয়। আর ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ আওয়ামী লীগ নেতারদের বক্তব্যের সাথে সুর মিলিয়ে বিরামহীন রাজনৈতিক বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। আসলে একতরফা ও নীলনকশার পাতানো নির্বাচনের মূল ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন ইসি সচিব। আমরা ইসি হতে তাকে দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
আজ সোমবার সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সিইসির ভাগ্নে (আপন বোনের ছেলে) এস এম শাহজাদা সাজু। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে গতকাল তিনি চিঠি পান। সেখানে আওয়ামী লীগের আর এক মনোনয়ন প্রত্যাশী আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেনে- আমাকে মনোনয়ন না দেবার কারণ একটি, সেটি হলো শাহজাদা সিইসির ভাগ্নে। সিইসিকে ক্ষমতাসীনদের পক্ষে কাজে লাগানোর জন্যই তার ভাগ্নেকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে। সাজুকে মনোনয়ন দেয়া সরকার কর্তৃক সিইসিকে ভোট দেয়ার একটি পরিষ্কার উদাহরণ। আমরা মনে করি- এই মনোনয়ন সিইসির জন্য স্বার্থের সংঘর্ষের একটি সুস্পষ্ট ক্ষেত্র তৈরী করেছে, যার কারণে সিইসি স্বীয় পদে অব্যাহত থাকার নৈতিক অধিকার সম্পূর্ণভাবে হারিয়েছেন। তার পক্ষে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার যে আওয়ামী লীগের অঘোষিত নেতা তা তার কর্মকান্ডে প্রমাণিত। সিইসি নির্বাচন কমিশনের প্রধান হওয়ার কারণে নিজে নৌকায় না উঠে ভাগ্নেকে নৌকার মাঝি করলেন।
রিজভী বলেন, এ প্রসঙ্গে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সততা, নিরপেক্ষতার অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখযোগ্য, যার তুলনা বর্তমানে নেই বললেই চলে। স্মরণযোগ্য যে, ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব ডক্টর শাহ মোহাম্মদ ফরিদ স্বেচ্ছায় মুখ্য সচিবের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন- যাতে স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন কোনোভাবেই উঠতে না পারে। কারণ সেই নির্বাচনে তার ভাই বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন। যদিও তিনি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন না। তবু তিনি পদত্যাগ করে এক অসাধারণ নজির স্থাপন করেছিলেন। বর্তমান সিইসি সেই নৈতিক দায়-দায়িত্ব থেকে অনেক দূরে অবস্থান করেন। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি যে, ভাগ্নে সাজুর মনোনয়নের প্রেক্ষিতে সিইসি অনুরূপ উচ্চ নৈতিক মান প্রদর্শন করে অবিলম্বে স্বীয় পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাষায় কথা বলে আসছেন ইসি সচিব হেলাল উদ্দিন। দ্রুত দলবাজ ইসি সচিবকে নির্বাচন কমিশন থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। কারণ আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের সাথে সুর মিলিয়ে বিরামহীন রাজনৈতিক বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। একতরফা ও নীলনকশার পাতানো নির্বাচনের মূল ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন ইসি সচিব। সরকার পরিকল্পিতভাবে সাজানো ভোটারবিহীন আরেকটি নির্বাচন করার জন্য দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ হিসাবে নির্বাচন কমিশনে হেলালুদ্দীনকে নিয়োগ দিয়েছে। ইসি সচিব মূলত নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করছে। বাকি পাঁচ সদস্যের কমিশনারদের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে জোরে সোরে তোড়জোড় চালাচ্ছেন তিনি।
রিজভী বলেন, বিগত ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের রূপকার ইসির তৎকালীন সচিব বর্তমান পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের পরামর্শে নির্বাচন কমিশনকে পরিচালনা করেন হেলালুদ্দীন। ক্ষমতাসীন মহলের অন্দরে অবাধ বিচরণ নির্বাচন কমিশন সচিবের। ভোটারবিহীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুগ্রহভাজনদের সমমর্যাদা বহন করে চলছেন তিনি। ‘গত শনিবার নির্বাচন ভবনে বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসি সচিব ভবিষ্যতে সতর্কতার সাথে কথা বলতে বলেছেন।’ তার এই বক্তব্য প্রমাণ করে তিনি নির্বাচন কমিশনের সচিব নন। তিনি নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগ শাখার প্রধান নেতা।
রিজভীর অভিযোগ, ইসি সচিব গোপনে সবচেয়ে অজনপ্রিয় একটি সরকারকে আবার অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় আনার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। বিশেষ সুবিধাভোগী হেলালুদ্দিন আহমদ ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যোগদান করে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি পূর্ণ সচিব পদে সরকার তাকে পদোন্নতি দেয়। অথচ ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি জেলা প্রশাসক ছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যে সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনার অংশ হিসাবে তাকে নির্বাচন কমিশনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সরকার সচিব হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মরহুম মহিউদ্দিন আহমদের একান্ত সচিব ছিলেন। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগ পন্থী আমলা হিসাবে তার পরিচিতি ব্যাপক। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি। প্রশাসনের ভেতরে সরকারের প্রভাবশালী একজন আমলা। প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে তার হাস্যোজ্জ্বল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাসছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রসংশামূলক পোস্ট দেয়া আছে। এসবে প্রমাণিত হয় তিনি নিরপেক্ষ নন, চরম দলবাজ এবং আওয়ামী লীগের অন্ধ অনুসারী।
বিএনপির এই নেতা জানান, গত ৮ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে হেলালুদ্দীন আহমদ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তফসিল ঘোষণার আগে তিনি পরিকল্পনা কমিশনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন। হেলালুদ্দীনের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের সচিব চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারদের ডেকে গত ১৬ নভেম্বর বৈঠক করেছেন। পরবর্তীতে ২০ নভেম্বর চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, তার এলাকার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের ডেকে সরকারের পক্ষে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। এসব ঘটনায় নির্বাচনী আইনের প্রতি তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ইসি সচিবের ভয়ে তটস্থ। সরকারের ইচ্ছে অনুযায়ী দক্ষ ও নিরপেক্ষদের বদলি করে নির্বাচন ভবনটি তিনি আওয়ামীপন্থী ক্যাডারদের দিয়ে সাজিয়েছেন। এ ধরনের চিহ্নিত, দলবাজ ও সরকারের চরম সুবিধাভোগী ইসি সচিব স্ব-পদে বহাল থাকলে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ইসি সচিবের বিরুদ্ধে সিইসির কাছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দাখিল করলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। অবিলম্বে ইসি সচিবকে প্রত্যাহার করে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের জন্য তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। দল নিরপেক্ষ এবং চৌকস কাউকে দ্রুত হেলালুদ্দীনের স্থলে নিয়োগ দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
রিজভী বলেন, আমরা বিশ^স্ত সূত্রে জেনেছি যে, ফেনীসহ কিছু কিছু জেলার পুলিশ সুপারগণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) ডেকে নিয়ে সভা করে তাদেরকে সরকারের পক্ষে কাজ করার চাপ দিচ্ছেন এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানির বিষয়ে ব্রিফ করছেন। তারা বলছেন এসিআর আমাদের হাতে, নির্বাচনের রেজাল্ট আমাদের হাতে দিবেন, এসিআর নিয়ে যাবেন। ইতোমধ্যে আমরা ফেনীসহ অন্যান্য জেলার বেশ কিছু পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহারের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে পত্রের মাধ্যমে অবহিত করেছি। আমরা এসকল দলবাজ পুলিশ সুপারদের জানাতে চাই-আপনাদের এধরনের কার্যক্রম আরপিও অধ্যাদেশের ৭৩ (২ই) এবং ৭৭ (র) (ব) অনুসারে নির্বাচনে অযাচিত প্রভাব এর অপরাধ। এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদন্ড এবং সর্বনি¤œ শাস্তি দুই বছরের কারাদন্ড। এধরনের অপরাধের মামলা ঘটনা সংঘটনের ছয় মাসের মধ্যে করা যাবে মর্মে আরপিওতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।
রিজভী বলেন, আমরা পুলিশ সুপারদের উদ্দেশে বলতে চাই- প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে আপনারা এধরণের অনৈতিক ও অযাচিত প্রভাব বিস্তার হতে এখনই নিবৃত্ত হউন। অন্যথায় আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ অভিযোগ/মামলা দায়ের করতে বাধ্য হবো। পুলিশ সুপারদের জানা উচিৎ এখন কোনো তথ্যই গোপন রাখা সম্ভব নয়। কারণ সকল জেলায় ও থানায় পুলিশ সুপারদের অধঃস্তন অনেক নিরপেক্ষ, সৎ ও পেশাদার কর্মকর্তা এখনো আছে।
সারাদেশে গ্রেফতার ও বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে নির্যাতন-নিপীড়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের হামলা, গ্রেফতার ভয়-ভীতি প্রদর্শন, নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে। রাজধানীসহ সারাদেশে নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে পুলিশ। এ সময় নেতাকর্মীদের খোঁজ করার নামে তল্লাশি ও ভাঙচুরের অভিযোগও রয়েছে। অনেক সময় নেতাকর্মীদের না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোনো কোনো বাড়িতে পরিবারের মহিলা সদস্যদের অকথ্য গালি গালাজ ভয় ভীতি প্রদর্শন করছে পুলিশ। শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী সদস্যরাই নয় কোথাও কোথাও ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ শাসক দলের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা করছে। এই মুহূর্তে পুলিশী শক্তির ব্যবহার ছাড়া আওয়ামী ঝুলিতে এখন আর কিছু নেই। গতকালও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য একরামুল হক বিপ্লবকে তার উত্তরার বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রিজভী বলেন, গতকাল যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় বিএনপির উঠান বৈঠকে পুলিশ তান্ডব চালিয়েছে। এ সময় কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বৈঠকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুবের পক্ষে মনোনয়ন জমা দেয়ার বিষয় নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে ঘরোয়া আলাপ আলোচনা চলছিলো। বৈঠক চলাকালে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে অভয়নগর থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই বাড়িটি ঘিরে ফেলে। এ সময় পুলিশ বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারপিট করে এবং তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় পুলিশের ছোড়া শর্টগানের গুলির ছররায় একজন বিএনপি কর্মী আহত হন।
তিনি বলেন, ফেনীতে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আসামি করে একের পর এক ‘গায়েবি’ মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এসব মামলায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী ঘরবাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছে। সিলেট জুড়ে দলীয় নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার চালাচ্ছে। এই বিষয়ে রোববার সিলেট জেলা সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: আব্দুল্লাহর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অহেতুক গ্রেফতার ও নির্যাতন না করার ঘোষণা সত্ত্বেও সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নেতাকর্মীদের পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং বাসায় বাসায় গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। যা সিইসির ঘোষণার পরিপন্থী। এছাড়া শনিবার সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজামাল নুরুল হুদাকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো প্রকার মামলা ছাড়াই আটক করা হয়েছে।
রিজভী আরো জানান, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ঝিনাইদহ জেলা, টাঙ্গাইল জেলা, নোয়াখালী জেলা, মৌলভীবাজার জেলায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি এবং বগুড়া জেলার সোনাতলা থানাধীন দিগদাইড় ইউনিয়নের সুখানপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘পুলিশিং কমিটির’ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সোনাতলা থানার ওসি। তারা তাদের বক্তব্যে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার জন্য সবাইকে কাজ করতে বলেন। এধরনের কর্মকান্ড নিঃসন্দেহে নির্বাচনী আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন। অথচ নির্বাচন কমিশন এসব নিয়ে একেবারেই নিশ্চুপ।