কক্সবাজার শহরের খুরুশকুল ইউনিয়নের পূর্ব হামজার ডেইল এলাকার কায়সার ( ২৪) নামের এক যুবককে জবাই করে হত্যার ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই আনছারুল হক সুজনের নেতৃত্বে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় ধৃত আসামীদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, রাম দা ও কিরিচ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানায়, গত ১১ মে সকালে পুলিশ খুরুশকুলের পূর্ব ডেইল গোলক সওদাগরের ঘোনা এলাকার ধানক্ষেত থেকে একই এলাকার আবু তৈয়বের ছেলে কায়সারের জবাইকৃত লাশটি উদ্ধার করেন।
পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন) ইকবাল হোছাইন, সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আদিবুল ইসলাম এর নির্দেশে এবং সদর মডেল থানার ওসি সৈয়দ আবু মোহাঃ শাহজাহান কবির ও তারঁ সঙ্গীয় ফোর্স এসআই আনছারুল হক সুজনের নেতৃত্বে পুলিশের বিশেষ একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রোববার ১৭ মে মধ্য রাত প্রায় ১ টায় পিএমখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড থেকে চারজন হত্যা মামলার আাসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত আসামীরা হলেন, পিএমখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের তোতখালী এলাকার সিকদার পাড়ার পইল্লাকাটা এলাকার আলী আকবরের ছেলে মোহাঃ ফারুক ( ২২), একই এলাকার আবুল কালামের ছেলে মুজিবুল করিম (২২) ও লাল মোহাম্মদের ছেলে শাহজাহান ( ২৭)ও একই ইউনিয়নের ছনখোলা মধ্যম মাদলিয়া পাড়ার বার্মাইয়া আব্দুস সালামের ছেলে আব্দুল করিম ( ২৫)
ধৃত আসামী ৪ জনের মধ্যে ২ জন স্বেচ্ছায় আদালতে অপরাধ স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনছারুল হক সুজন বলেন, কায়সারকে জবাই করে হত্যার পর তার বাবা বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অজ্ঞাত আাসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
অধিকতর তদন্ত পূর্বক অভিযান চালিয়ে অবশেষে হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষ জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
তাদের হত্যাকান্ডে ব্যবহ্নত ছোরাও উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি সৈয়দ আবু মোহাঃ শাহজাহান কবির বলেন, হত্যার সাথে জড়িত ধৃত আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। কক্সবাজার সদরের আওতাধীন সকল এলাকা শান্তি ও শৃঙ্খলা বিরাজমান, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতেও প্রাত্যহিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।