ইসলাম মাহমুদ, সিটিএনঃ
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংকরোডে করোনার দুর্দিনের ভরসা এখন পল্লী চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান।
তিনি জানান, পল্লী চিকিৎসকেরা বরাবরই মানুষের পাশে থেকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে। নিজের পেশাকে মানব সেবা হিসেবে মনে করি। তাই দেশের এই করোনার ক্রান্তিকালে আমি ঘরে বসে না থেকে রোগীদের পাশে রয়েছি। সরকারের নিয়মনীতি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে রোগীদেরকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে চলেছি। গুরুতর রোগীদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিচ্ছি।
কক্সবাজার সদর উপজেলার দঃমুহুরিপাড়া গ্রামের রাজিয়া সুতানা নামে এক নারী সর্দি জ্বরে ভুগছেন। প্রায় মৌসুমে তার এই ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে কাঁশির পরিমান সামান্য বেশি হলে তিনি শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসক দেখানোর উদ্দেশ্যে যান। কিন্তু কোনো চিকিৎসককে না পেয়ে ফিরে যান। পরে লিংকরোড বাজারে পল্লী চিকিৎসক মাহবুবুর রাহমানের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। ওষুধ সেবনের পর তার সর্দি ও জ্বর অনেকটা কম।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আতঙ্কের কারণে প্রাইভেট হাসপাতালে চেম্বারে বিশেষজ্ঞরা না আসার কারণে রাজিয়ার মতো অনেকেই ছুটছেন পল্লী চিকিৎসকের কাছে। ক্রান্তিকালে পল্লী চিকিৎসকরাই এখন ভরসা হয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনাভাইরাস আতংকের কারণে কক্সবাজার শহরের প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগী দেখছেন না। সেখানে চিকিৎসার জন্য মানুষ গিয়েও সেবা না পেয়ে ফিরে আসছেন। চলমান পরিস্থিতির পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত অনেকেই ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখবেন না ঘোষণাও দিয়েছেন।
চিকিৎসক না পেয়ে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন মৌসুমি নানা রোগে আক্রান্তরা। চান্দেরপাড়া গ্রামের নুরুল আমিন জানিয়েছেন, তার নাতনি মৌসুমি রোগে আক্রান্ত হলে তাকে কক্সবাজার শহরে নিয়ে যায়। প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিকে কোনো ডাক্তার না পেয়ে পরে লিংকরোডে পল্লী চিকিৎসক মাহবুবুর রাহমানের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছি।
উল্লেখ্য পল্লী চিকিৎসক মাহবুবুর রাহমান ১০ বছর যাবৎ এ মহৎ পেশায় নিয়োজিত আছেন। আইসিডিডিআর বি, মহাখালী ঢাকা থেকে ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট এবং সংক্রামক রোগের উপর বিশেষত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।
তার পিতা ডাঃ রিদুয়ানুল হকও সুনামের সহিত এ মহৎ পেশায় ছিল।