টেকনাফে নয়াপাড়া

শরনার্থী ক্যাম্পে ইয়াবা নজিরের রাম রাজত্ব

teknaf ctnআমান উল্লাহ আমান, ট্কেনাফ প্রতিনিধি :

টেকনাফে নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যাম্পে ইয়াবা নজিরের রাম রাজত্ব চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সে ২০/২৫ জনের একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে দীর্ঘ দিন ধরে গোটা নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যাম্পের লোকজনকে জিম্মি করে বীর দর্পে ইয়াবা ব্যবসা ও ওই সিন্ডিকেট দিয়ে ডাকাতি চালিয়ে যাচ্ছে। তার বাহিনীর ভয়ে ক্যাম্পের ভিতর সহজে মূখ খুলেনা কেউ। এমন অভিযোগ করেছেন টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড শরনার্থী ক্যাম্পের শরনার্থীরা।
এদিকে গত ২১ আগষ্ট রাতে শরনার্থী ক্যাম্পের ‘বি’ ব্লকের ১০১৮ নং শেডের ১ নং রুমে বসবাসকারী মোঃ হোসাইনের ছেলে রশিদ উল্লাহ (এমআরসি নং- ০৮৮৪৭৫) ইয়াবার লেনদেন দেখে ফেলায় তাকে ব্যাপক মারধর করেছিল। এঘটনায় সে গত ২৪ আগষ্ট ক্যাম্প ইনচার্জ বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছে। এ অভিযোগ দায়ের করায় বর্তমানে তাকে প্রতিনিয়ত প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। নজির আহাম্মদ (এমআরসি নং- ২২১১৯) হচ্ছে ‘বি’ ব্লকের ১০১৮ নং শেডের ৬ নং রুমে বসবাসকারী ফয়েজ আহমদের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যাম্পের ওমেন সেন্টারের পূর্ব পার্শ্বে উৎপেতে থাকা ৬/৭ জনের মুখোশধারী ডাকাতদল রশিদ উল্লাহ বাড়ী যাওয়ার পথে আক্রমন করে। এসময় তাকে লাঠি ও কিল ঘুষি মেরে রক্তাক্ত আহত করে ডাকাতদল তার গলার চেইন, মোবাইল ও নগদ টাকা লুট করে। এক পর্যায়ে ডাকাতদল রশিদ উল্লাহকে প্রানে মেরে ফেলার জন্য বললে সে শৌর চিৎকার করলে মোঃ ইউসুফ নামে এক ব্যাক্তি ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে তাকেও মেরে মারাত্মক আহত করে। পরে লোকজন এগিয়ে আসলে ডাকাতদল রশিদ উল্লাহর মাথায় সজোরে লাঠি দিয়ে আঘাত করে দিক বিদিক পালিয়ে যায়। এসময় সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসা শেষে সূস্থ হয়ে রশিদ উললাহ ক্যাম্প ইনচার্জের মাধ্যমে কক্সবাজার বিজ্ঞ জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বরাবর ৬ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে। এরা হচ্ছে ‘বি’ ব্লকের ১০১৮ নং শেডের ৬ নং রুমে বসবাসকারী ফয়েজ আহমদের ছেলে নজির আহাম্মদ (এমআরসি নং- ২২১১৯), কবির আহামদ, ‘সি ব্লকের ৮৩৪ নং শেডের ৬ নং রুমের চাদ মিয়ার ছেলে হাফেজ আহমদ, বি ব্লকের ১০০৫ নং শেডের ৫ নং রুমের আবদু শুক্কুরের ছেলে মোঃ জুবাইর, ই ব্লকের ৯০৮ নং শেডের নং রুমের হাবিবুর রহমানের ছেলে রহিম উল্লাহ (এমআরসি নং- ৪৮৫৩০) ও মোঃ আলম (ঠিকানা ও পিতা অজ্ঞাত)। রশিদ উল্লাহ জানিয়েছেন, নজির সিন্ডিকেটের হুমকীতে বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। যে কোন মূহুর্তে তাকে আক্রমন করে প্রাণে মেরে ফেলার আশংকা রয়েছে। এদিকে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, নজির আহমদ একজন তালিকাভূক্ত ইয়াবা মাদক ব্যবসায়ী, অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়দানকারী এবং সে সাগর পথে মালয়েশিয়া মানবপাচার ও ইয়াবা ব্যবসা করে প্রচুর টাকা আয় করেছে বলেও ক্যাম্পে জনশ্রুতি রয়েছে। টাকার জোরে সে নিজস্ব ডাকাতদল গঠন করে বীরদর্পে ক্যাম্পে অবস্থান করছে। তার ভয়ে কেউ সহজে মূখ খোলার সাহস পাইনা। সে শরনার্থী ক্যাম্পে এক প্রকার ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে সাধারন শরনার্থীদের জিম্মি করে রেখেছে। নজির ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নয়াপাড়া ক্যাম্পের সাধারন শরনার্থীরা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যাম্পের ইনচার্জ জালাল আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সে চোরাচালানের সাথে জড়িত বলে জেনেছি।


শেয়ার করুন