মাধ্যমিকে রোল নম্বরের অবসান হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা পাবে আইডি নম্বর

সিটিএন ডেস্কঃ

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবার মাধ্যমিকের নতুন ক্লাসে ওঠা শিক্ষার্থীদের চিরাচরিত প্রথায় রোল নম্বর দেওয়া হবে না।

বার্ষিক পরীক্ষার মেধাক্রমের ভিত্তিতে আগে যে রোল নম্বর দেওয়া হত, তার বদলে শিক্ষার্থীদের এবার আইডি নম্বর দেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন।
আর প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা আগের ক্লাসের রোল নিয়ে পরের ক্লাসে উঠবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, “রোল নম্বর নিয়ে একটা সমস্যা হয়। প্রত্যেক শ্রেণিতে যে রোল নম্বর থাকে, আমাদের রোল নম্বরের যে প্রথা রয়েছে, তার কারণে একটা অনভিপ্রেত প্রতিযোগিতা হয় এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক সময় যে সহযোগিতার মনোভাব, যেটি থাকার দরকার, অনেক সময় সেটির অভাব ঘটে রোল নম্বরের কারণে, সামনে আসতে চায় সবাই।

“আমরা চেষ্টা করছি ২০২১ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের শ্রেণির রোল নম্বরের এই বিষয়ের পরিবর্তে আইডি নম্বর প্রদান করতে, এতে পুরানো রোল নম্বর প্রথার বিলুপ্তি হবে এবং অনভিপ্রেত প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা সৎ প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হবে বলে আশা করছি।”

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক থেকে সব শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডি দেওয়া হবে। পুরো শিক্ষা জীবনে সে ওই আইডি নম্বর নিয়ে থাকবে, তাতে তাকে ‘ট্র্যাক’ করা যাবে, সে ঝরে পড়ছে কি না।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, “(প্রাথমিকে) আমাদের আইডি নম্বর দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। আগের (বছরের) রোল নম্বরই (নতুন ক্লাসে) দেওয়া হবে।”

দীপু মনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমতা আনা এবং গুণগত মান অর্জনে সরকার কাজ করছে।

“এবার লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, আমরা আশা করছি, তাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যে কিছুটা হলেও হয়ত সমতা আসবে।

“কিছু স্কুলে খুব ভালো ফলাফল করে তেমন শিক্ষার্থীরা যায়, কিছু স্কুল থাকে একেবাইরে ভালো ফল করছে না তেমন শিক্ষার্থীরা যায়, এই যে একটা বিরাট রকমের বৈষ্যম্য তৈরি হয়ে যায়, এই বৈষম্যটা তারা স্কুল-কলেজ পার হওয়ার পুরো সময়টায় বয়ে নিয়ে যায়।”

দীপু মনি বলছেন, “লটারির মাধ্যমে যেটা হচ্ছে, এই বৈষম্যের জায়গাটা অনেকখানি নিরসন হবে এবং কিছুটা হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমতা আসবে। মিক্সঅ্যাবিলিট ক্লাসের কারণে ২০২১ সালে আমাদের গুণগত শিক্ষা অর্জন কিছুটা হয়ত সহজতর হব।”


শেয়ার করুন