কক্সবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সিরাজুল হক বিএ এর ২য় মৃত্যু বার্ষিকী আজ। ২০১৮ সালের ২ মে আজকের দিনেই কক্সবাজার সদর হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷ মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর। ১৮ সালের ২ মে দুপুর ১২টায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে প্রথমে কক্সবাজার সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে সন্ধা ৫টায় সদর হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। ৩ মে বিকালে উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে উখিয়ার ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ মরহুম সিরাজ বিএকে শেষ বিদায় জানাতে দূরদূরান্ত থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসেন।
২০১৯ সালের এই দিনে দলীয় এবং ঘরোয়া ভাবে
খতমে কুরআন, দোয়া মাহফিল করা হলেও এবার তার বিপরীত। সম্প্রতি করোনা মহামারীর কারণে কোন ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়ায় এই বিএনপি নেতার মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হচ্ছে।
শিক্ষাজীবনে উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং বিএ সম্পন্ন করেন৷
টগবগে যুবক থেকে তিনি জাতীয়তাবাদী যুবদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। দীর্ঘ রাজনীতিক জীবনে তিনি উখিয়া উপজেলা যু্বদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, উখিয়া বিএনপির বিএনপির আহবায়ক ২বার, বৃহত্তর চকরিয়া বিএনপির আহবায়ক, কক্সবাজার জেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক, শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এবং কক্সবাজার জেলা বিএনপির কমিটিতে ৬ষ্ঠ বার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন৷ সর্বশেষ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি থাকাকালীন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন সর্বজন শ্রদ্বেয় বিএনপির এই নেতা৷ দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জেলা বিএনপি সভাপতি, সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর একান্ত সহচর ছিলেন।
রাজনীতিতে কখনো সরকারি দল, কখনো বিরোধী দল সবসময় মাঠে ছিলেন, তৎকালীন ১৯৮৮তে কক্সবাজার লালদিঘির পাড়ে বক্তব্যে বলেছিলেন, “লালদিঘির পানি যেমন লাল নয়, এরশাদের শাসনও তেমন শাসন নয়” এই বক্তব্যের পরে সিরাজ বিএ’র বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে এরশাদ সরকার। তবুও দমে যাননি তিনি। জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত দলের সাথে ছিলেন।
আজ শনিবার (২ মে) প্রবীণ প্রয়াত এই নেতার ২য় মৃত্যু বার্ষিকীতে প্রতিবেদককে কক্সবাজার জেলা বিএনপি সভাপতি, সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী জানান, সিরাজুল হক বিএ দলের ক্রাইসিসে একজন খাটি জাতীয়তাবাদী আদর্শের ত্যাগী নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুতে দলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি সিরাজ বিএ’র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। এবং দলের সকল নেতা-কর্মীদের মরহুমের মতো ত্যাগী ও আদর্শিক হয়ে দলকে গড়ে তুলার আহবান করেন।
মৃত্যুকালে সিরাজুল হক বিএ সহধর্মিণী, তিন কন্যা ও ২ পুত্র সহ বহু গুণগ্রাহী রেখে যান। পুত্র-কন্যা উভয় উচ্চ শিক্ষিত। সবাই জাতীয়তাবাদী দলের অনুসারী।
মরহুমের পুত্র মাসুম সিরাজী ও আপেল সিরাজী তাদের পিতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।
সিরাজুল হক বিএ ১৯৫৩ সালে উখিয়া সদরের ঘিলাতলীতে পিতা সাহাব মিয়া, মাতা নিলোফা হোসনার পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।