চলতি বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব মিন্ট থোয়ে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমার সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ থেকে দেয়া তালিকা যাচাই বাছাই শেষে এসব রোহিঙ্গাদের আগামী মধ্য নভেম্বর থেকে ফেরত নেয়ার কাজ শুরু করা হবে। পর্যায়ক্রমে সব রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়া হবে।
বুধবার (৩১ অক্টোবর) রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য গঠিত বাংলাদেশ মিয়ানমার যৌথ ওর্য়াকিং গ্রুপের প্রতিনিধিরা কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব এসব কথা বলেন।
এদিন দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে পৌঁছেন প্রতিনিধি দলটি।
ক্যাম্প পরিদর্শনকালে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের কাছে দ্বিতীয় দফায় ২৪ হাজার ২৪২ জন রোহিঙ্গার আরেকটি তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্তসচিব) মো. আবুল কামাল।
এদিকে, মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি ক্যাম্পে যাওয়ায খুশি হয়েছে রোহিঙ্গা। তাদের দাবি, এনডিসি কার্য নয়, নাগরিকত্ব দিয়ে স্বদেশে ফেরত নেয়া হোক।
প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লক পরিদর্শন এবং নির্যাতিত কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন।
পরে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডি-৫ ব্লকে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহীদুল হক।
এসময় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় বৈঠক করেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছায় দলটি। পরে সেখান থেকে সরাসরি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের কক্সবাজার আসার কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। তারা যতক্ষণ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন, ততক্ষণ কাজে সাহায্য করার জন্য পুলিশের একটি দল সঙ্গে ছিল। বুধবার জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিং শেষে দলটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন।
নভেম্বরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু
শেয়ার করুন